বিশ্বে গত দুই দিন বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচটি বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূ-পৃষ্টের অভ্যন্তরে বড় কোনো আলোড়নের কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। আর এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৮ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘সানডে এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে বড় ভূমিকম্পে একাধিকবার কেঁপে ওঠে মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একাধিক বড় ভূমিকম্প হয় জাপানে। ভূমিকম্প হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ভানুয়াতু এবং ফিলিপাইনেও। এতে অল্প সময়ে কয়েকটি ভূমিকম্পের ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূকম্পবিদ রজার বিলহ্যাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত আরো চারটি বড় ও তীব্র ভূমিকম্পের আশঙ্কা আছে, রিখটার স্কেলে যেগুলো ৮ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভূমিকম্পের ঘটনা যত দেরিতে ঘটবে এর তীব্রতাও বাড়বে বলে দাবি করেন এই বিশেষজ্ঞ।

ইনফোওয়ার্স ওয়েবসাইটের মতে, রজার বিলহ্যামের আশঙ্কা সত্যি হলে বিশ্বের মানুষ স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবে। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো জনবহুল অঞ্চলে ভূমিকম্প ঘটলে এর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি থাকবে। জাপানে গত দুইদিনের ঘটনা সাত মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হবে কয়েকগুণ শক্তিশালী।

সানডে এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত বছর নেপালের ভূমিকম্পে আট হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালের শুরু থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় কয়েকটি বড় ভূমিকম্প ঘটেছে। এতে গত বছরের মতো বা এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কোনো ভূমিকম্পের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জাপানে সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১৯ জন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে