সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে লিড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টাইগার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর স্বাগতিকদের কাজ সহজ করে দিয়েছে বৃষ্টি। ডিএল মেথডে ১১ ওভারে টার্গেট দাড়ায় ৯১ রান। ১১ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় উইন্ডিজ।
ওডিআই সিরিজে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতেও তামিমের কাছে দলের প্রত্যাশা ছিলো অনেক। কিন্তু ইনিংসের প্রথম বলেই সবাইকে হতাশ করে সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। অ্যাশলে নার্সকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পড বাঁহাতি ওপেনার। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে প্রথম বলে স্টাম্পড হননি কোনও ওপেনার।
তিন বল পর সৌম্য সরকারকে ফেরান ক্যারিবীয়ান স্পিনার। ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে টাইগাররা।
লিটন, সাকিব ধাক্কা সামলে নেন, ওদের পাল্টা আক্রমণ স্কোর বোর্ড সচল রাখে। তবে কিমো পলের পর পর দুই বলে দুইজনের বিদায়ে আবারও ব্যাকফুটে টাইগাররা। বিলাসী শটে সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটান লিটন। পরের বলেই বাউন্ডারি লাইনে সাকিবের দারুণ একটা ক্যাচ নেন উইলিয়ামস।
মুশফিক, রিয়াদের সামনে সুযোগ ছিলো দলকে এগিয়ে নেয়ার। কিন্তু মুশফিকের আউটে আবারও ছন্দপতন। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০০, কিন্তু শুরুতেই উইকেট হারানোর মাশুল গুনে টাইগারদের ইনিংস থামে মাত্র ১৪৩ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষেই শুরু হয় বৃষ্টি। খেলা যখন শুরু হয় তখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে উইন্ডিজের সামনে টার্গেট ১১ ওভারে ৯১ রান। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য কাজটা কঠিন হবার কথা নয়। তবে দ্বিতীয় ওভারে মুস্তাফিজ ঝলকের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন টাইগার ভক্তরা। ওই ওভারেই দুই ওপেনারকে ফেরান ফিজ।
রাসেল, স্যামুয়েলস অবশ্য বিপদ বাড়তে দেননি। সাকিব, অপুদের ওপর ঝড় তুলে জয়ের পথ সুগম করেন। ২৬ রানে স্যামুয়েলসকে আউট করেন রুবেল। তবে আন্দ্রে রাসেল অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে।
ইন্ডিপেনডেন্ট