বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমাজ সংস্কার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশের ইতিহাস ও সংগ্রামকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে, চলচ্চিত্রকে সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নিয়ে বেশি বেশি সিনেমা তৈরির আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাসও দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ সব দিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে তাই আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণেও পিছিয়ে থাকতে চাইনা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে দেশের স্বধীনতা সংগ্রামের পটভূমিকে তুলে ধরার আহ্বানও জানান। এক সময় মানুষ চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও বর্তমান সময়ে আবার চলচ্চিত্রের ভালো সময় ফিরে আসছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র জীবনের প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমেই সমাজ সংস্কারের পথ দেখানো সম্ভব।’

২০১৬ সালের জন্য ২৬টি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন শিল্পী-কলাকুশলীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘আয়নাবাজি’র জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরষ্কার পেয়েছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। আর যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার পেয়েছেন নুসরাত উমরোজ তিশা এবং কুসুম শিকদার। আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এবং ফরিদা আক্তার ববিতা। শ্রেষ্ঠ প্রামণ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘জন্মসাথী’ এবং শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতেছে ‘ঘ্রাণ’। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রের জন্য আলী রাজ এবং ফজলুর রহমান বাবু এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন তানিয়া আহমেদ। শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার তৌকীর আহমেদ, শ্রেষ্ঠ গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা রুবাইয়াত হোসেন এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার আনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ও সুরকার ইমন সাহা, শেষ্ঠ গায়ক ওয়াকিল আহমেদ এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন।শ্রেষ্ঠ পোষাক ও সাজসজ্জার পুরস্কার জেতেন সাত্তার ও ফারজানা সান। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যানের পুরস্কার জেতেন মানিক।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এবং তথ্যসচিব মো. আব্দুল মালেক। শেষপর্বে আয়োজিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে