মৃৎশিল্প কারিগর সাধন দা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের সামনেই মৃৎশিল্প নিয়ে বসেন সাধন দা। বহু বছর ধরে এই শিল্পকে তিনি লালন করে আসছেন নিজের মেধা, চেষ্টা ও অধ্যাবসাই দিয়ে, এই শিল্পের কোনো একাডেমীক বিদ্যা পাঠ পড়েননি তিনি, তবুও প্রতিভাবান অনন্য এই গুনি মানুষটি সবার কাছে খুব চেনা মুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ছাত্র-ছাত্রীদের যখনই কোন গবেষণা মুলক কাজের প্রয়োজন পড়েছে এই শিল্পকে নিয়ে তখনই সাধন দা, কোনো রকম একাডেমীক বিদ্যা পাঠ ছাড়াই গুরু হয়ে উঠেছেন অঘোষিত ভাবে সবার কাছে।
ফরহাদ হোসেন, বর্তামানে কাজ করছেন দীপ্ত টেলিভিশনে। তিনি বলেন আমরা যখন লেখাপড়া করতাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন থেকে আমি সাধন দা জানতাম, অসম্ভব প্রতিভাবান একজন গুণীজন তিনি, যার মেধা, ধ্যান-জ্ঞান, চিন্তা-চেতনা মিশে আছে শুধু মৃৎশিল্পকে ঘিরে।
গণগণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাশেদ রিন্টূ বলেন, খুব বেশি দিন না, আমার সঙ্গে পরিচয়। তবে অল্প সময়ে তিনি খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন।অনেক সময় তার মৃৎশিল্প পছন্দ করে রেখে আসলে তিনি বলতেন, ‘নিয়ে যাও, যখন পারো টাকা দিও।’ তখন আমি তাকে কী বলবো বুঝে উঠে পারতাম না। কখনো তার মুখ দেখে বুঝতে পারিনি, তিনি এতো বড়ো একটা রোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন। হঠাৎ কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম তিনি ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছেন। আমরা সাধন দা কে আমাদের মাঝে আরও অনেকদিন দেখতে চাই।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং চলচ্চিত্রবিষয়ক সংগঠন ম্যাজিক লণ্ঠনের উদ্যোগে ডকুমেন্টারিটি নির্মাণ করা হয়েছে। জানিয়েছেন সাহায্যের আবেদনও। আপানিও আপনার সাহায্যের হাতটি বাড়িয়ে দিতে পারেন,বাঁচিয়ে তুলতে পারেন অসম্ভব প্রতিভাবান এই গুনি শিল্পীকে।
সংগৃহীত ঃ রাশেদ রিন্টূর ফেসবুক পেজ থেকে