পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতা মানতে পারছে না আওয়ামী লীগ। আর দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের অপকর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের রাজনীতির স্বাভাবিক ধারায় আওয়ামী লীগের ফেরা কঠিন। ছাত্র জনতার তোপের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে নির্দেশনা দেন দলের এক নেতাকে। তবে ১০’নভেম্বর কর্মসূচি পালিত হয়েছে ঠিকই। তবে নির্দেশনায় অনুযায়ী রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি আওয়ামী লীগ। যে দু-একজন রাজপথে এসেছে তাদেরও হটিয়ে দিয়েছে জনসাধারণ। মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের এমন পরিণতি কিসের ইঙ্গিত দেয়। এমন প্রশ্নে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এখনও বাস্তবতা মানতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, এই গণহত্যার জন্য আওয়ামী লীগের এখনও কোনো ক্ষমা প্রার্থনা নেই, কোনো অনুশোচনা নেই। বরং বিভিন্নভাবে উস্কানি দেয়ার একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ আরও একবার তাদের নিজেদের রাজনীতির মৃত্যুর খবর বাস্তবে দিচ্ছে।
নতুন বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিহত করার যে পুরাতন প্রক্রিয়া তাতে ভালো কিছু দেখেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অপকর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে তৃণমূলকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, রাজনীতি হচ্ছে প্রবাহমান নদীর মত। অনেক প্রমত্তা নদী কখনো খাল হয়ে যায়। রাজনীতিতে যদি সময়ের সঙ্গে চলা না যায়, সময়ের আগে না চলা যায়, মানুষকে আইডিয়া না বোঝানো যায়, জনকল্যাণে যদি সম্পর্ক না থাকে তাহলে সেই রাজনৈতিক দল ছোট হতে বাধ্য। মুসলিম লীগ ছোট হয়ে গেছে, গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে পড়ে যেতে দেখেছি। এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের স্বার্থে বহু বছর পর রাজনৈতিক যে একাট্টা তা ইতিবাচক। তবে মানুষের কাছে যেতে হলে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জুলাই-আগস্টের হত্যার দায় আগে স্বীকার করতে হবে।