মিষ্টার আলী মিলনঃ বগুড়ায় সরকারের পক্ষে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জনকে সরকারি আইন কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বগুড়া বারের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম টুকুকে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) এবং বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছেদকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহানগর ও জেলার বিচারিক আদালতে যারা রাষ্ট্রের হয়ে ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন তাদের পিপি বলে। আর যারা দেওয়ানি আদালতে সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন তাদের জিপি বলে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে নয় জন জামায়াত সমর্থিত এবং বাকিরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সদস্য বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এসব তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত পিপি আবদুল বাছেদ। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাজে যোগদান করেছি। বুধবার থেকে আদালতে কাজ শুরু করবো আমরা।

আবদুল বাছেদ আরও বলেন, ‘নিয়োগকৃতদের মধ্যে নয় জন জামায়াত, তিন জন আওয়ামী লীগ ও একজন গণফোরাম সমর্থিত আইনজীবী রয়েছেন। বাকিরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের।’তবে বারের দুজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নিয়োগ পাওয়া ১০৭ জনের সবাই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী। অন্য রাজনৈতিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। আদালত সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় জেলা জজ আদালত ও এর অধীন আদালত, বিশেষ জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০২ জন আইন কর্মকর্তা ও পাঁচ জন প্যানেল আইনজীবী। ২০ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগের (জিপি, পিপি শাখা) উপ-সলিসিটর মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত জিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১০ জন হলেন—শাহাদৎ হোসেন (১), মাহবুব আলম বাবলা, ফজলুল বারী ইন্টু, নুরুল ইসলাম, জাফরুল হাসান জুয়েল, আব্দুল ওয়াহিদ, এটিএম জিন্নুল হক, খায়রুজ্জামান জামান, মাহফুজার রহমান মাসুদ ও এমদাদুল হক। এ ছাড়া সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি) হিসেবে ১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—মো. আবু বক্কর সিদ্দিক-১, মো. আলমগীর, রাফিয়া আক্তার জানি, মো. মামুনুর রশিদ দুলাল, মো. ফারুক নূর হাসান, মো. আব্দুল ওয়াহেদ আকন্দ হেলাল, মো. জহুরুল ইসলাম খন্দকার, আশরাফুল ইসলাম সুজা, সাইয়েদা মার্জিয়া নাজু, মো. এমদাদুল হক খন্দকার, মো. ফারুক আহমেদ, মো. সোহেল রানা সজিব, মো. নূর-ই-আযম, মো. রুহুল আমিন বাবু, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. আব্দুস সালাম ও মো. বাবুল রহমান।

প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে আলী আজগার ও এপিপি হিসেবে কারিমুল ইসলাম বকুল এবং এনামুল হক পান্না নিয়োগ পেয়েছেন। দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হিসেবে মোজাম্মেল হক, এপিপি হিসেবে আবদুর রাজ্জাক মনি ও আতাউর রহমান আতিক দায়িত্ব পেয়েছেন। সুফিয়া বেগম কোহিনুরকে শিশু আদালতের পিপি ও হারুন অর রশিদকে (১) বিশেষ জজ আদালতের পিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জহুরুল হক জাফর, সেলিম রেজা, আবদুল হান্নান মাসুদ,মঞ্জুর-এ-আলম মন্নু ও সাজিদ ওয়াসিক বাঁধনকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ১৯ জন হলেন—লুৎফর রহমান প্রামাণিক, এজিএম শামছুদ্দীন স্বপন, মোস্তফা রেজাউল করিম, এফইএম আসাদুজ্জামান মাখন, টিএম তারিকুল ইসলাম সাচ্চু, এমএকে ফজলুল হক, নূর-এ-আজম বাবু, রেজানুল ইসলাম রেজা, নাজমুল হুদা পপন, শাহাজাদী লায়লা আরজুমান বানু, মাসফিকুর রহমান তালুকদার রুবেল, আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা, হাবিবুর রহমান (১), এসএম মাসুদার রহমান স্বপন, একেএম হুমায়ন কবির, মোসলেম উদ্দিন লিটন, আজাদ হোসেন তালুকদার, ইখতিয়ার উদ্দিন এবং শফিকুর রহমান শফিক।

এ ছাড়া এপিপি হিসেবে ৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—মো. ওমর ফারুক, মো. তৈয়বর রহমান মণ্ডল, শহিদুল হাসান পলাশ, মো. শারদুল হক, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, রাব্বি রাশেদ রিজভী মিঠু, মো. জাহিদুল হাসান মুনু, আবু হায়াত মো. মোস্তফা কামাল পরাগ, মো. ফরিদ উদ্দিন-২, এটিএম শামছুজ্জামান হিরু, হারুন-অর-রশিদ রুবেল, মো. গোলাম মোস্তফা জিয়ন, মো. রুহুল কুদ্দুস রুহুল, কামাল উদ্দিন, আকতার জাহান লাইজু, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আরমান হোসেন, শেখ রাজিবুল ইসলাম রাজিব, একেএম আব্দুল হাকিম, সাজেদা বেগম, রহিমা খাতুন মেরী, মো. আমিনুল ইসলাম শাহীন, মো. মোস্তাফিজার রহমান বকুল, মো. শিপন আলী, মো. শরিফুল ইসলাম হীরা, কামরুল হাসান খান, জহুরুল ইসলাম জিয়া, আতোয়ার হোসেন প্রামাণিক, মো. মিজানুর রহমান, জেসমিন আরা বেগম সীমা, এসএম এহসানুল হক বাবু, মো. গোলাম মোস্তফা মজনু, মো. বশির আহম্মেদ, মো. জামাল পাশা রানা, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মো. আ ন ম বজলুর রশীদ, মো. নাজমুল হোসেন, মো. আবু সাঈদ বিলাশ, একেএম মাহমুদুল হাসান রানা, ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আতাউর রহমান সবুজ, মো. আরেফুর রহমান, মো. সানাউল সায়েম ও আফরোজা খাতুন।

বগুড়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে