জহির সিকদারঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে দীর্ঘ ৯ ঘন্ট বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে করে হাসপাতালের রোগীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয় পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকদের। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ৯ ঘন্টা পর সমঝোতার ভিত্তিতে সন্ধ্যা ০৭ টায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দাবি, আন্দোলন করায় এরই মধ্যে ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ও উপ মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়াও বরখাস্ত হয়েছেন। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে জেলায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। বিদ্যুৎ না থাকায় বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের বেশি ঝামেলা হয়। এসময় বিভিন্ন উপজেলার মিল কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদেরও দূর্ভোগে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, সারাদেশের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছিল। বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসা হয়েছিল। আশা করা যায় কিছুক্ষণের মধ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।আলোচনার পরপরই সন্ধ্যা ০৭ টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে