তুহিন হোসেনঃ পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর সাজ অটো রাইস মিল লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ সরকার ও তার স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মিসেস শাহনাজ বেগম ও তাদের ছেলে সাজ অটো রাইস মিলের সিইও তাহসিন শাহরিয়ার আনন্দ এর নানা অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্বসাৎ, কৃষি জমি দখল, কৃষি ফসলের ক্ষতির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (৮ আক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলার শেখপাড়া এলাকায় সাজ অটোর সামনে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কৃষক রিংকু বলেন, আমাদের জমি জোড় করে ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে গত ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের সুযোগে নিজ প্রতিষ্ঠানের লোকজন দিয়ে মিলে ভাঙচুর চালিয়ে আমাদের ৯ জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেছেন মোঃ শহিদুল্লাহ সরকার। জেলা ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী সদস্য রাসেল বলেন, আমি আমার চাচা নাজিম উদ্দিন এর ব্যবসা দেখাশোনা করি। আমার চাচা নাজিমুদ্দিন ও রফিক মিলে সাজ অটো রাইস মিল ৩২ লক্ষ ২ হাজার ৬০০ শত টাকা অগ্রিম জমা দিয়ে এক বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেয়। কিন্তু ২৪ দিন মিল চালানোর পর স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীরা ও প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদেরকে জোড় করে মিল থেকে বের করে দেয়। আমাদের প্রদানকৃত টাকা/মিল চালানোর অনুমতি চাইতে গেলে তা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হামলা, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হয় এবং ৫ আগষ্ট আমার নামে মামলা করা হয়। ভুক্তভোগী পাওনাদার বগুড়ার ফকির টেড্রার্স এর মালিক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি সাজ অটো রাইস মিলে ধান সরবরাহ করি এবং ১৮ লক্ষ টাকা পাওনা হই। কালক্ষেপন করে আমার টাকা না দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এবং সাজ অটোর মালিকের স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকুরী করায় নানা ভয়ভীতি প্রদান করছেন।

কুষ্টিয়ার অপর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সাজ অটো রাইচ মিল থেকে পালিশ, ডাস ও খুদ ক্রয় করে থাকি। মালিক পক্ষ অগ্রিম বাবদ আমার নিকট থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে পালিশ, ডাস ও খুদ দেয়নি এমনকি টাকাও ফেরত দেয়নি। আমিসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার ব্যবসায়ীসহ আমরা ৪৭জন পাওনাদার প্রায় ৪ কোটি টাকা পাওনা রয়েছি সাজ অটো রাইস মিলের কাছে। এই পাওনা টাকা আদায় ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে ।

পাবনা নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে