‘বিশ্ব শিশু দিবস ও বিশ্ব শিশু সপ্তাহ ২০২৪”-এর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, “দেশের প্রায় ৭০% শিশুই বৈষম্যের শিকার, যা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম আলো এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর শিশুদের অধিকার বঞ্চনা সীমাহীন। শিশু অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত শিশু সংগঠন “কচি কন্ঠের আসর আয়োজিত” ৫ অক্টোবর রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলনে বক্তারা উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করেন।

কচি কন্ঠের আসরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “শিশু একাডেমীতে প্রাণ ফেরাতে হলে উপযুক্ত, সক্ষম ও নিবেদিত ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা সময়ের দাবি। যাতে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানটি ছাত্রজনতার বিপ্লব পরবর্তী সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করবে নতুন প্রজন্মকে। নেতৃত্ব দিবে শিশুদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। তবেই জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিশু একাডেমী অনন্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।” সভাপতির বক্তব্যে হেমায়েত হোসেন বিস্মিত কন্ঠে বলেন, “বিগত সরকারের ‘স্বৈরাচারের আইকন’গুলোকে বাচ্চাদের মগজে ঢুকাতে তৎপর ছিল শিশু একাডেমী নামের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি। দেশীয় সংস্কৃতির পরিবর্তে এটি দলীয় সংস্কৃতির চোরাবালিতে ঠেলে দিয়েছে শিশু-কিশোরদের। এটি কোনভাবেই ঠিক হয়নি। শিশু একাডেমীতে প্রাণ ফেরাতে হবে আমাদের শিশুদের ও আগামী প্রজন্মের স্বার্থে।”

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ২০২৪ জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের উপর একটি ভিজুয়াল ডকুমেন্ট প্রদর্শিত হয়। স্বাগত বক্তব্যে স্মরণ করা হয় ইজরায়েল-ফিলিস্তিন, রাশিয়া ইউক্রেন, লেবাননে শিশু-কিশোরদের নিপীড়িত জীবনের শত বঞ্চনার কথা। এরপর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনে মুগ্ধ করে উপস্থিত সকলকে। “শিশুদের তরে নিবেদিত” এদিনের আয়োজনে প্রধান অতিথি ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হেমায়েত হোসেন কচি কন্ঠের আসরের দীর্ঘ ৪৮ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন । তিনি বলেন, “ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশে “বৈষম্যের বৃত্তে আটকেপড়া” শিশু কিশোরদের মুক্ত করতে হবে। একক প্রয়াসে যা সম্ভব নয় মোটেও। শিশু একাডেমীর এক্ষেত্রে অনেক কিছু করার আছে।” সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কচি কন্ঠের আসরের সভাপতি হেমায়েত হোসেন খান বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী ড. ইউনুস তিন শূন্যের পৃথিবী গড়ার প্রবক্তা, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। এখন আমাদের ভাবতে হবে, সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা ‘তিন শূন্যের বাংলাদেশ’ কীভাবে গড়বো এবং নতুন প্রজন্মকে মহান কর্মযজ্ঞে কীভাবে সম্পৃক্ত করে নিবো।”

‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪’ এবং ‘বিশ্ব শিশু সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তারিত জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাঁরা জানান, শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে এই সংগঠনটি। গত সপ্তাহজুড়ে নানা কর্মসূচীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ৩ অক্টোবর বৈষম্যহীন শিশু অধিকার আদায়ের দাবিকে উচ্চকিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস, জাতিসংঘের আঞ্চলিক কার্যালয়, ইউনিসেফ ও আমেরিকান দূতাবাসে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করে কচি কন্ঠের আসর। এর আগে ইউনিসেফ রেলি ও রোড মার্চে অংশগ্রহণ শেষে স্মারকলিপি উপস্থাপন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে অংশ নেয় UCEP- ইসমাইল টেকনিক্যাল স্কুল, অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, মাস্তুল স্কুল, কড়াইল স্লাম স্ট্রিট স্কুল, মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হাই স্কুল, কামরুন্নেসা গার্লস স্কুল, লালমাটিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, মিরপুর ইউনিভার্সিটি কলেজ, বিসিআইসি স্কুল এন্ড কলেজ, একাডেমিয়া, মনিপুর স্কুল (ট্রাইবাল স্টুডেন্ট), আল আমিন হাফিজুর কুরআন মাদ্রাসা এন্ড এতিমখানা এবং ম্যাপললিফ স্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও ক’জন শিশু সাংবাদিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা আয়োজকদের কাছে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

বিশিষ্ট সমাজসেবক ও কচি কন্ঠের আসর-এর প্রতিষ্ঠাতা হেমায়েত হোসেন বলেন, “দেশের সকল শিশুকে বৈষম্যহীনভাবে তাদের অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশে শিশু একাডেমী বলে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে, যা বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।” সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শিশু একাডেমীকে জনমুখী ও প্রজন্মবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে। একে গতিশীল প্রতিষ্ঠানের রূপ দিয়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিশু কিশোরদের পরিপূর্ণ বিকাশ ও তাদের অধিকার বঞ্চনার বিষয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।” অংশগ্রহনকারী শিশু কিশোর ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মো. কাইয়ুম খান এবং প্রতিষ্ঠাতা হেমায়েত হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের পরিচালক একেএম লুৎফুর রহমান। উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় মুকসুদপুরের সূরুপি সালিনা বকসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ হাজারেরও বেশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উন্নত মানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়। এতে সহযোগিতা করে ‘কচি কন্ঠের আসর ইউএসএ’ এবং ‘চিলড্রেনস ভয়েস’। এছাড়াও সপ্তাহব্যাপী আনন্দ র‌্যালি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের মাঝে উন্নতমানের খাদ্য বিতরন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।

কচি কন্ঠের আসরের আগামী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ বিষয়ে জানতে চাইলে হেমায়েত হোসেন জানান, ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ভাবনার ও স্বপ্ননির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। কচি কন্ঠের আসরকে নতুন উদ্দীপনায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তাড়িত করছে ২০২৪-এর বিপ্লবের দিনগুলো। আমাদের সামনে নতুন আশাবাদ হলো, বর্তমানে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আছেন বিশ্বের সেরা বরেণ্য ব্যক্তিত্ব নোবেলজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর দিক নির্দেশনায় কচি কন্ঠের আসর “তিন শূন্যের বাংলাদেশ” নির্মাণের অন্যতম অংশীদার হতে চায়। বিপ্লব-উত্তর নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে শিশু-কিশোরদের জন্য “ফাস্ট প্রায়োরিটি এন্ড প্রোগ্রামস” সেট করে নিয়েছি আমরা। আমরা মনে করি, শিশুদের জন্য সাংবাদিকদের অনেক কিছু করার আছে। তাদেরসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুনি ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে আমরা একটি “রিসার্চ ও পাবলিকেশন সেন্টার” গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছি। কচি কন্ঠের আসর আগামী ডিসেম্বরে “শিশুদের তরে নিবেদিত” স্লোগান ও নতুন থিম সং প্রকাশ করবে, জানান হেমায়েত হোসেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের শিশুদের নতুন নতুন প্লাটফর্মে উপস্থাপন করার তাগিদ অনুভব করছি। এজন্য নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ে মনোযোগী হতে হবে বলে জানান হেমায়েত হোসেন।

তিনি কচি কন্ঠের আসরের অগ্রাধিকারমূলক তিন প্রকল্প কথা জানান আগ্রহী কয়েকজন সাংবাদিককে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিশুদের জন্য “সেফটি ফাস্ট, সুইমিং মাস্ট” নামে জেলাব্যাপী ক্যাম্পেইন করা। এর লক্ষ্য হলো, নদীমাতৃক বাংলাদেশে প্রতিটি শিশু সাঁতারে দক্ষ হবে, পানির সাথে লড়াই করে বাঁচতে শিখবে। এটুকু সক্ষমতা তাদের থাকা চাই-ই। “জীবনের নিরাপত্তায় সাঁতার, সুস্বাস্থ্যের জন্য সাঁতার” এর মর্ম উপলব্ধিতে আমরা অনুপ্রাণিত করবো শিশুদের। সাঁতারে দক্ষ হবার মধ্যদিয়ে শিশুরা নদী সাগর জল জলাশয়, বন্যা প্লাবন ও জলাবদ্ধতায় আটকে পড়া কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে শেখাবে। কচি কন্ঠের আসর এক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। ক্যাম্পাসভিত্তিক সাঁতার প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবছি আমরা। কচি কন্ঠের আসরের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম হলো : শিশু কিশোরদের মননশীল চর্চা, তথা ইনকলুসিভ গ্রোথের জন্য ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসূচি। এর মধ্যে হলো, বৃক্ষরোপণ, বইপড়া কর্মসূচি ও লাইব্রেরি কেন্দ্রিক সামাজিক আন্দোলনে প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা। হেমায়েত হোসেন জানান, উপলব্ধি করছি, জুলাই বিপ্লব ২০২৪ স্মরণে সৃজনশীল প্রতিযোগিতা আয়োজনের উপযুক্ত সময় এটি। বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ে তুলতে হলে শিশুদের সম্পৃক্ত করে নেয়ার বিকল্প নেই। আমাদের শিশুরা কে কিভাবে কতটা দেখেছে, জেনেছে জুলাই বিপ্লবের দিনগুলো; সেটা তুলে ধরবে, নিজেদের মতো করে লিখবে। সেরা লেখা নির্বাচন করে পুরস্কার দেওয়া হবে। এই “আমার দেখা জুলাই বিপ্লব” প্রতিযোগিতা যেমন শিশুদের মননশীল বিকাশে সম্বৃদ্ধ করবে, তেমনি তাঁদের ইতিহাসের রক্ত ঝরা দিন এবং তাঁদের দেশপ্রেমিক মানুষগুলোকে স্মরণে রাখার সুযোগ পাবে বললেন হেমায়েত হোসেন। তৃতীয় প্রধান কর্মসূচিতে অধিক গুরুত্ব দেয়ার আছে বলে জানান কচি কন্ঠের আসরের স্বপ্নদ্রষ্টা হেমায়েত হোসেন।

শিশুরা অতিমাত্রায় ডিভাইস ও গ্যাজেট নির্ভর হয়ে গেছে। বাস্তব যোগাযোগ কমে গেছে। এটি উপলব্ধি করে আমরা বইপড়া ও লাইব্রেরিকেন্দ্রিক সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করবো। ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তরুণ প্রজন্মের জন্য যেসব থ্রেটগুলো/ ক্ষতিকর দিকগুলো আছে তা থেকে রক্ষা করা এবং প্রযুক্তির দক্ষ প্রয়োগে তাদের সম্বৃদ্ধ করে নিতে উদ্যোগী আমরা। এজন্য “সেফ ব্রাউজ: সেভ ইওর টাইম এন্ড মাইন্ড’, “লার্ন, ক্রিয়েট এন্ড আর্ন মানি” নামে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হবে। সেই সাথে, বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিংয়ে ইতিবাচক উপস্থাপনায় তুলে ধরতে সক্ষম করা হবে তরুনদের। তাঁদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে গড়ে তুলে এদেশের প্রকৃতি, ট্যুরিজম, এদেশের পন্য, এদেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের বিশ্ববাসীর মাঝে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হবে। এই কর্মসূচিতে শিশুরা যেমন বিশ্বকে, বিশ্ববাসীকে জানতে পারবে; তেমনি তারা জানতে পারবে বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতার বিশ্বে তাঁদের সম্ভাবনা কোথায়, সামর্থ্য কোথায় এ চ্যালেঞ্জগুলো কি? তাও জানতে পারবে, জানান হেমায়েত হোসেন। এই ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রতিযোগিতার আয়োজন। “প্রযুক্তির বিশ্বে জীবন, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সন্ধান” শিরোনামে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবছি। নিজের উপলব্ধি ও পরিকল্পনার কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সমাজসেবী কচি কন্ঠের আসরের স্বপ্নদ্রষ্টা হেমায়েত হোসেন বলেন, এইসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামীদিনে মিডিয়ার সাপোর্ট আমাদের বেশি প্রয়োজন হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে