সিনান আহমেদ শুভ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।। রাজবাড়ী জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে বুধবার সামাজিক সংগঠন ‘নাগরিক কমিটি রাজবাড়ী’ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিতে জেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
নাগরিক কমিটি রাজবাড়ীর সভাপতি জ্যোতিশংকর ঝন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ফকির শাহাদত হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জেলার বিভিন্ন স্থানে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল, লোমহর্ষক চুরির ঘটনা বেড়েছে। সেই সাথে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গত ৩০ আগস্ট তারিখে রাজবাড়ী পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের চর লক্ষীপুর মৌজায় রনজিৎ কুমার দাসের বাড়ি-ঘর দখলসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এখনও তিনি প্রাণভয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে শহরের প্রাণকেন্দ্র ভবানীপুর প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পাশে রাজবাড়ীর প্রথিতযশা চিকিৎসক দম্পতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. সুনীল কুমার বিশ্বাস ও ডা. পূর্ণিমা রানী দত্তের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। দুর্বৃত্তরা বাড়ির মূল্যবান সকল জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। সুরক্ষিত একটি বাসভবনে এমন চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে শহরের বড়পুলে রাজবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী শিশু সংগঠন আবোল-তাবোল কার্যালয়ে ঘটেছে চুরির ঘটনা।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক প্রভাবশালী হয়ে ওঠা এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করছে। মানুষকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে করে ভুক্তভোগী মানুষের জনজীবন আতঙ্কের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক ও পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন উভয়েই জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। নাগরিক কমিটি রাজবাড়ীর সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসব ঘটনা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার আবেদন করা হয় স্মারকলিপিতে। একই সাথে আসন্ন দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে তাদের উৎসব পালন করতে পারে সেব্যাপারেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
