আন্তর্জাতিক: সম্প্রতি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইউনাস গার স্টোরে ১৪ই’সেপ্টেম্বর চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজিকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সফরে তিনি প্রথমবার চীনের উচ্চ গতির ট্রেনে উঠেছেন। তিনি জানান, চীনের উচ্চ গতির ট্রেন অত্যন্ত দ্রুত, যা মানুষ পছন্দ করে। এর মাধ্যমে তিনি চীনের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের এলাকা দেখতে পেরেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ অক্টোবর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী। শুধু অতীত স্মরণ করাই নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকেও তাকাতে হবে। এ সফরের লক্ষ্য দু’দেশের সম্পর্ক আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া। চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বেইজিং সফর সুষ্ঠু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ইউনাস গার স্টোরে।

নয়া চীনকে সবার আগে স্বীকৃতি দেওয়া অন্যতম পশ্চিমাদেশ নরওয়ে। গত ৯ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ে পৌঁছান এবং তিন দিনব্যাপী চীন সফর শুরু করেন। এদিন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হয়। তিনি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০তম বছরে, দু’দেশের জনগণ পরস্পরকে সম্মান করেছে এবং পরস্পর থেকে শিখছে। এভাবে অমূল্য বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাক্ষাত সম্পর্কে তিনি অনেক তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রথমত, চীনা নেতার সঙ্গে একাধিক সহযোগিতামূলক খাত নিশ্চিত করতে পেরে তিনি অনেক খুশি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ রূপান্তরের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চালাতে দু’নেতা একমত হয়েছেন। নরওয়ের নাগরিকদের জন্য চীন ১৫ দিনের ভিসা-মুক্ত সুবিধা দিয়েছে। যা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য কল্যাণকর। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ও আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া, বিশ্বের চলমান ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জ্বালানি রূপান্তর ও সবুজ সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখাতে চীনের অনেক প্রযুক্তি বিশ্বের সামনে সারিতে রয়েছে। এসব খাতে সহযোগিতা চালানো দরকার। বৈদ্যুতিক গাড়ি খাতেও চীন গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চীন হচ্ছে এশিয়ায় নরওয়ের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। দু’পক্ষের আর্থ-বাণিজ্যিক খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ সম্পর্কে তিনি জানান, চীন উদীয়মান অর্থনৈতিক সত্তা। পাশাপাশি, চীন এশিয়ায় তাঁদের বৃহত্তম সহযোগী অংশীদার। দু’দেশের নিরাপদ ও নির্ভরশীল সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। দু’দেশের সহযোগিতা উন্নয়নের খাতে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী আরও বেশি বাণিজ্যিক বিনিময় প্রত্যাশা করেন। বিশেষ করে, সবুজ প্রযুক্তি ও সবুজ রূপান্তর খাত। দু’দেশের শিক্ষার্থী বিনিময় বৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জানান, দু’দেশের ৭০তম কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ৭০ বছর সূচনা প্রত্যাশা করেন ইউনাস গার স্টোরে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে