বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘অসাধু উপায়ে’ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিল দুর্নীতি দমন কমিশন। অবশেষে প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা ‘হয়রানির’ অবসান হল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুদকের আবেদনের শুনানি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির মৌখিক আদেশ দেন। রোববার বিচারক সেই লিখিত আদেশে সই করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুদক ও আদালতের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী, সেই সঙ্গে ‘হেনস্তার’ জন্য করেছেন আক্ষেপ। তিনি বলেছেন, পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ তুলে আমাকে, আমাদেরকে এতগুলো বছর অকারণে হেনস্তা করা হল, সামাজিকভাবে হেয় করা হল, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এবং ব্যবসায়িকভাবে গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলা হল, একটি সংবাদমাধ্যমের শ্বাসরোধের মত অবস্থা করা হল, এসবের দায় এখন কে নেবে? আগেও বলেছি, এ ধরনের মিথ্যা মামলা শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে, অকার্যকর করে ফেলে। হয়রানির অস্ত্র হিসেবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করার যে সংস্কৃতি আমরা দেখে এসেছি, সেখান থেকে এবার দেশ বেরিয়ে আসুক।
কমিশনের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বৃহস্পতিবার দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক স্বাক্ষরিত মামলা প্রত্যাহারের অনুমোদনপত্র আদালতে দাখিল করেন। মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, ক্রিমিনাল ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮ এর ১০ (৪) ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৫ ধারার বিধানের আলোকে দুদক এ মামলার প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারসহ তাদের কোনো সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধে ও বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার সকল দায় থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া প্রয়োজন।
বিচারক রোববার তার লিখিত আদেশে বলেন, তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। মামলা প্রত্যাহার হওয়ায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিদেশযাত্রায় আর বাধা নেই। এছাড়া তৌফিক ইমরোজ খালিদী এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করা হয়েছিল, সেগুলোও অবমুক্ত করে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।