হোসাইন রুমেলঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ফুলতলা চা বাগানের শ্রমিকদের ০৯ সপ্তাহ ধরে তলব (মজুরি) বন্ধ আছে। আজ বুধবার ( ২৮ আগস্ট) সকাল থেকে পনেরো’শ চা শ্রমিকরা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে আন্দোলন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, প্রকট অর্থনৈতিক মন্দা এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত প্রেক্ষিতে ” দি নিউ সিলেট টি এস্টেটস লিমিটেড” এর ফুলতলা চা বাগানের সকল কার্যক্রম আগামী ৮ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করার নোটিশ পাঠানো হয়। তবে দেশের চলমান সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে অত্র চা বাগান চালু হবে বলে জানা যায়। তিন মাসের বেশি সময় ধরে কর্মচারীদের বেতন বন্ধ। ৯ সপ্তাহ ধরে শ্রমিকের মজুরি ও রেশন বন্ধ। বেতন না পেয়ে বেহাল অবস্থা শ্রমিক পরিবারগুলোর। এই নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। এই বেতন সমস্যায় কার্যত বন্ধের মুখে ফুলতলা চা বাগান। মাথায় হাত শ্রমিকদের।

আজ শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ফ্যাক্টরি ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করে। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হোন ১ প্লাটুন সেনা সদস্য সহ উপস্থিত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিস আকারুল ইসলাম, জুড়ী থানার ওসি মেহেদী হাসান ও সঙ্গীয় ফোর্স, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সেলু, ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ ও স্বপন মল্লিক। বিক্ষিপ্ত চা শ্রমিকদের কথা শুনেন এবং পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আশ্বস্ত করেন। সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আকারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সকল যৌক্তিক দাবি দেয়া অবশ্যই মেনে নিতে হবে। এই বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। জুড়ী থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি পেতে যতটুকু সহযোগিতা লাগবে আমরা তাদের পাশে থাকবো। এবং খুব দ্রুতই এ বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।

ফুলতলা ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলি সেলু বলেন, শ্রমিকদের পাশে আমি সবসময় ছিলাম, আছি থাকবো। এই ইউনিয়নের সকল শ্রমিক আমার ভাই। আমার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব আমি করবো।

মৌলভীবাজার নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে