গর্ভাবস্থায় যদি কোনো মা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তবে সে ক্ষেত্রে মা ও শিশু উভয়ে ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের জ্বরকে গুরুত্ব দিতে হবে, বিশেষ করে ডেলিভারি এবং তার পরবর্তী সময় কোনো কারণ ছাড়া জ্বর এলেই ডেঙ্গু ভেবে নিতে হবে।

রোগ নির্ণয়- রোগীর উপসর্গের সঙ্গে রক্তের কিছু পরীক্ষা।

ডেঙ্গু এনসি১ অ্যান্টিজেনঃ জ্বরের এক থেকে পাঁচ দিন।সঙ্গে সিবিসি (এইচসিটি/হেমাটোক্রিট বেড়ে যায় ডাব্লিউবিসি কাউন্ট/শ্বেত রক্তকণিকা কমে যায়, যাকে লিউকোপেনিয়া বলে), এসজিপিটি, এসজিওটি করা হয়ে থাকে (লিভারের কার্যকারিতা বোঝার জন্য)।

ডেঙ্গু আইজিএম অ্যান্ড আইজিজি অ্যান্টিবডি : জ্বরের পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় এমনিতে রক্তরসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এইচসিটি কম থাকে, আবার নিচের রক্তচাপ কম থাকায় পালস প্রেসার একটু বেশি থাকে, তখন ডেঙ্গু নির্ণয় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। আর সে জন্য সিরিয়াল বা পর পর কয়েকটি পরীক্ষায় পরিবর্তন দেখে বুঝে নিতে হয়।চিকিৎসাব্যবস্থা

♦ জ্বর ও ব্যথা প্রশমন করতে হবে। রোগী প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খাবেন। কোনো অ্যাসপিরিন বা অন্য কোনো বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না

♦ বেশি করে তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ঠিকমতো প্রস্রাব হচ্ছে কি না খেয়াল রাখতে হবে।
♦ গর্ভবতী মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, মৃদু জ্বর, ডেঙ্গু উপসর্গ দেখা না দিতেও পারে

♦ ক্রিটিক্যাল বা বিপজ্জনক সময় বেশি সচেতন থাকতে হবে। সাধারণত জ্বরের পঞ্চম, ষষ্ঠ দিন যখন জ্বর ছাড়তে শুরু করে (কখনো তৃতীয় দিন থেকে শুরু হয়)। সেই সময় শরীরে পানি বা ফ্লুইড পরিমিত পরিমাণে যেন থাকে, সেটি খেয়াল করতে হবে

♦ সপ্তম দিন অর্থাৎ বিপজ্জনক সময়ের পরপরই আবার কোষে পানি আসা শুরু হয়। তাই তখন কিন্তু ফ্লুইড অতিরিক্ত দেওয়া যাবে না, তাহলে ফুসফুসে পানি জমে শ্বাসকষ্ট হতে পারে

♦ নরমাল ডেলিভারির সময় প্লেটিলেট ৫০ হাজার আর সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ৭৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার, কোনো কোনো গাইডলাইন বলছে, অপারেশনের সময় ৫০ হাজার থাকলেও চলে

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আরিফা শারমিন মায়া
জেনারেল প্রসূতি ও গাইনি এবং ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
কনসালট্যান্ট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে