শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর সংবাদদাতা।। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেছেন, বিএনপিকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা কখনোই সফল হবে না। বরং আপনারা আপনাদের কৃতকর্মের জন্য মুছে যাবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন মাফিয়াদের হাতে। সংসদে কোনও রাজনীতিক নেই, প্রশাসনেও মাফিয়া। আর লুটেরা মাফিয়াচক্রের প্রধান শেখ হাসিনা। এই চক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

বুধবার বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে করা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতকে সন্তুষ্টের জন্য। ভারতের সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ফসল হচ্ছে আজিজ-বেনজীর। তিনি আরও বলেন, এ সরকার উন্নয়নের নামে দেশে ব্যাপক দুর্নীতি করছে। আর দুর্নীতির ভার টানতে হচ্ছে জনগণকে ভর্তুকির মাধ্যমে। আর ওই ভর্তুকি হচ্ছে ভৌতিক বিল, যা আপনাকে- আমাকে টানতে হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা জানতাম, সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক, কিন্তু এখন আমরা তাদের সেবকে পরিণত হয়েছি। কোনও কিছু হলে তারা বলে- বড় স্যাররা চাকরি খেয়ে ফেলবে, আমাদের করার কিছুই নেই। আর আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে তাদের চাকরি টিকিয়ে রাখা। তিনি বলেন, ব্রিটিশের কলোনি, পাকিস্তানের শোষণ কোনও কিছুই মানিনি, যুদ্ধ করেছি। ভারত এদেশকে কলোনি হিসেবে ব্যবহার করবে- আমরা তা হতে দেব না। তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অথর্ব করে রাখা হয়েছে। সীমান্তে তাদের যেভাবে রেখেছে, তার চেয়ে গ্রাম্যচৌকিদার অনেক ভালো। তাদের গুলি ফোঁটানোর অধিকার নেই। অথচ, সীমান্ত রক্ষায় আমরা নিয়মিত অস্ত্র গুলি কিনছি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তার মুক্তির পর যে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে, তাতে আওয়ামী লীগ দুইটি আসন পাবে। শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জ আসনে জনগণ পরাজিত করবে। কেননা জনগণ আমাদের সাথেই আছে। আজকের এই বৈরী আবহাওয়ায় জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে। তিনি আরও বলেন, এই সরকার সবাইকে চোর-বাটপারে পরিণত করেছে। সরকারি চাকরিজীবী সবাই চোর। ফলে, এই চোরদের জনগণ আর চায় না। যখন ডাক আসবে তখন সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায়চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগাঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা সুলতানা মুন্নী প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে