পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও নাবিকদের বিপদমুক্ত করা। সেই উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে কুয়ালালামপুরে পাইরেসি রিপোর্টিং সেন্টার, নয়াদিল্লীতে ইন্ডিয়ান ফিউশন সেন্টার, যুক্তরাজ্য মারিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) এবং এশিয়ায় দস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত দপ্তরকে খবর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঐ অঞ্চলে চলাচলরত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের জাহাজগুলোকেও বাংলাদেশের জাহাজটির অবস্থা রিপোর্ট করা হয়েছে, জানান তিনি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে সাংবাদিকরা গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম কোম্পানির মোজাম্বিক থেকে দুবাইগামী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ দখল ও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিককে বন্দি করার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত কনসার্ন এবং মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচিত হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জলদস্যুদের সাথে কোনো ‘ফরমাল’ যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি, অন্য পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে তৎপর রয়েছে। ইতিপূর্বেও একই কোম্পানির একটি জাহাজ জলদস্যুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। তিন মাস পর সেই জাহাজ এবং ক্রু উদ্ধার করা হয়েছিল। এর আগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ঢাবি সিনেট ভবন মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার এন্ড ডিভালপমেন্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।