মিরাজ,পটুয়াখালী,সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্দরের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিনের আত্মীয় স্বজন ও আশীর্বাদপুষ্টরা এবং স্থানীয় বিএনপি পন্থীদের নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা পোর্টের সকল ঠিকাদারী কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করছেন। কমিশন বানিজ্যে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব করে যাচ্ছেন। । তিনি একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে পায়রা পোর্টে লুটপাট করে যাচ্ছেন। এতে মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্নাম ছড়াচ্ছে, যার কারণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অসাধু এ কর্মকর্তার জন্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বিতর্কিত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, নাসির উদ্দিন তাদের তার অধিনে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে অশ্লীল দুর্ব্যবহার করে বিতাড়িত করে দেন। তাদের দুর্ব্যবহার, মারমুখী আচরনকে ধামাচাপা দিয়ে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আমাদের দলীয় ভাবমুর্তী ক্ষুন্ন করে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নামে অসত্য চাঁদাবাজীর তোকমা দিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কোনো চাঁদা চায়নি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা পায়রা পোর্টের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি, বরং তারা নিজেরা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে কাজ বন্ধ করে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উপর অসত্য দায় চাপিয়ে সরকার ও দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে এবং এই কারনেই স্থানীয় সাংবাকিদের কাছে কোনো সত্য তথ্য না থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কতৃক দেয়া অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে এমন সংবাদ পরিবেশন করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, ফিরোজ সিকদার, দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ইউসুফ আলী, কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ হুমায়ুন কবির, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সালমা কবির সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।