ছবিঃ সম্পাদক.কম থেকে নেয়া
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেই রাজধানীতে চলছে মাদকের বেচাকেনা। তবে, কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। নিজেদের পছন্দ মতো জায়গা ছাড়া কিংবা পরিচিতজন ছাড়া বিক্রি করছেন না মাদক। অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে কারওয়ান বাজার স্পট। চলমান মাদক-বিরোধী অভিযানে অবস্থার সাময়িক পরিবর্তন হলেও স্থায়ী সমাধান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল লাইন বস্তি। দেশব্যাপী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে মাদক বিরোধী অভিযান হয়েছিল ঢাকার অতি পরিচিত মাদক কেনা-বেচার এই স্পটেও। কিন্তু সপ্তাহ না পেরুতেই আবারো জমজমাট মাদকের আসর। শুধু বিক্রি নয়, এখানে রয়েছে ইয়াবা হাউজও। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে মাদক-ক্রেতা সেজে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ মেলে। ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যে মধ্য বয়সী এক নারী জানতে চান কি লাগবে। টাকা হলে নাকি সবকিছুই মেলে এখানে।

কৌশলে জানা গেল, এখানকার সব ধরনের অপকর্মের খবরই জানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরেজমিনে ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও। অল্প চেষ্টাতেই মেলে মাদক। মাদকসেবীরা জানান, মাদক ছাড়তে চাই। কিন্তু আবার দেখা যায়, না খেলে  খুবই খারাপ লাগে। কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। এখনো অনেক এলাকায় খুঁজলে পাওয়া যায়। গা ঢাকা দেয়া মাদক ব্যবসায়ীদের আওতায় আনতে না পারলে অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। তিনি বলেন, যেসব মাদকব্যবসায়ী আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে যারা মাদকের খুচরা বিক্রেতা, তারাও এখন আত্মগোপনে। তাদেরকেও আইনে আওতায় নিয়ে আসতে হবে।অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের ৭০ লাখ মাদক সেবনকারীর মধ্যে ১০ লাখ রয়েছেন পুরোপুরি আসক্ত। এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে সমাজে অপরাধের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, অভিযানের সুফল পেতে হলে স্বচ্ছতা আনতে হবে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাজেও।

রুজমিলা হক
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে