অবশেষে সম্পাদকীয় নীতি বদল করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতদিন স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বেশ কিছু দেশ। তবে বিবিসি জানিয়েছে, হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ না বলার ব্যাপারে তারা তাদের সম্পাদকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১২’ই অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ।
বিবিসি জানায়, সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিলে কোনো একপক্ষের সমর্থন করা হয়। তবে বিবিসি নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করতে চায়। সেজন্য হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে সম্বোধন করবে না বিবিসি। তবে বিবিসির এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শাপস। তিনি বলেন, ‘তাদের এই নীতি অসম্মানজনক। আমি আসলে মনে করি এটি অপমানজনক। তারা মুক্তিযোদ্ধা নন, তারা জঙ্গি নন, তারা সাধারণ সন্ত্রাসী। কিন্তু বিবিসি তা বলতে চায় না। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী লুসি ফ্রেজারও বিবিসিকে তার নীতি সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের ভাষার ব্যবহারকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়ে থাকি। যে কেউ আমাদের কভারেজ দেখছে বা শুনছে তারা ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি বহুবার ব্যবহার করা শুনতে পাবে – যারা এটি ব্যবহার করছে আমরা শুধু তাদের উদ্ধৃত করে বলব। যেমন- যুক্তরাজ্য সরকার। বিবিসির জন সিম্পসন এক্স এ একটি পোস্ট করে বলেন, ‘ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা ভালো করেই জানেন কেন বিবিসি ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি এড়িয়ে চলে এবং বছরের পর বছর ধরে তাদের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে এর সঙ্গে একমত হয়েছেন।