বিএনপি আবারও জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭৭ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে বিদ্রোহ দমনের নামে সেনা সদস্যদের ফাঁসি ও ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে মায়ের কান্না ও অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ নামে দুটি সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ’সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজ আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ তাদের বিচার হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর দেশে বিদ্রোহ দমনের নামে জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমানবাহিনীর পাচ শতাধিক সদস্যকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছিলেন। একইভাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি সারাদেশে অগ্নি সন্ত্রাসের রাজনীতি করে মানুষ হত্যা করেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় হতাহতদের কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে সময় পেট্রলবোমা ও অগ্নিসন্ত্রাসে সেভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসেই বিরল। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে শুধু তাদেরই নয়, এর হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।

এসময় বিদেশি সংস্থা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়া মানুষগুলোর সঙ্গে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে