ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করা মাত্র থানায় গ্রহণ করতে হবে। ঘটনা যে এলাকাতেই ঘটুক না কেন থানা থেকে কোনো অভিযোগকারীকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। আর অপরাধের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।

২০১৫ সালের ২৫ মে রাজধানীতে এক গারো নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ ওঠে। ওই নারীর স্বজন মামলা করতে গেলে তুরাগ ও গুলশান থানা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরদিন ভাটারা থানা মামলা নিলেও নির্যাতিত নারীকে হাসপাতালে নেয়া হয় আরো একদিন পর। এ ঘটনায় পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পেয়েছে গত সপ্তাহে।

আদালত বলেছে, ধর্ষণ বা যৌন নীপিড়নের শিকার কোনো ব্যক্তি যে থানায়ই যান না কেন তার অভিযোগ নথিভুক্ত করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশনাও দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশনাকে ইতিবাচক বলছেন নারী অধিকার কর্মীরা। তারা মনে করছেন এ রায় মামলার প্রক্রিয়াকে সহজ করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলার হার কমাবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় সরকারকে একটি ওয়েবসাইট করতে বলা হয়েছে, যেখানে ভুক্তভোগীরা ধর্ষণ বা যৌণ নিপীড়নের অভিযোগ দিতে পারবেন।

রুজমিলা হক
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে