ভারতের উড়িষ্যায় শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় প্রায় ১০০০ যাত্রী। আশঙ্কা করা হচ্ছে আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। সারারাত ধরে ট্রেনের দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীও। দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সোয়া ৩টায় হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে উড়িষ্যার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি। একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ওলটপালট হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক বগি।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটিতে বাংলাদেশি যাত্রী থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য অনেক বাংলাদেশি এই ট্রেনে কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করেন। দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের তথ্য জানতে হটলাইন (+৯১৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বর দিয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।