যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হয়েছে ফিসকাল রেসপনসিবিলিটি বিল বা ডেট সিলিং বিল। এই সপ্তাহেই বিলটি সেনেটে যাবে। সেখানে পাস হয়ে গেলে বিলটি আইনে পরিণত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য এই বিল অপরিহার্য বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ।
করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ পড়েছে মার্কিন অর্থনীতির ওপর। মন্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল দেশটি। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে বাঁচাতে ডেট সিলিংয়ের প্রস্তাব আনেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে বহু আলোচনা ও বিতর্ক হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিলটি পেশ করা হয় হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে। বিপুল ভোটেই বিলটি পাস হয়েছে। বাইডেনের আশা, একইভাবে সেনেটেও বিলটি পাস হয়ে যাবে।
এই বিল পাস না হলে তীব্র অর্থ সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। সেনাবাহিনী থেকে সরকারি কর্মচারী—সবার বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর চেক দেওয়া সম্ভব হতো না। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নয়, এই পরিস্থিতি তৈরি হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন অর্থনীতির ওপর যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে, ফলে আন্তর্জাতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে।
৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণে চলছে মার্কিন অর্থনীতি। এই বিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধারের পরিমাণ বাড়ানোর রাস্তা তৈরি করে দিল। এতে ধারের যে সর্বোচ্চ সীমা ছিল, তা পরিবর্তনের সুপারিশ করা হলো।