দেশের ছয় জেলায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭ মাদক ব্যবসায়ীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রোববার রাতে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল কালাম আজাদ নামে একজন নিহত হন। র্যাব-১২ দাবি করেছে, মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে কয়েকজন মাদক বিক্রেতা র্যাব সদসদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পাল্টা গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হয় আজাদ। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজাদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। নিহত জনাব আলী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও একজন মারা যান। র্যাবের দাবি, নিহত সব্দুল মাদক ব্যবসায়ী।
নরসিংদীর পলাশেও র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ১ জন। নিহত ইমান আলী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি র্যাবের। রাজশাহীতেও র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত। যশোর সদরের পুলিশ জানায়, ২ দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ মাদক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা মঙ্গলগাতি গ্রামের মাঠে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ান শ্যুটারগান, একটি গুলি,২টি গুলির খোসা ও ইয়াবা উদ্ধার করে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নরেন্দ্রপুর এলাকার র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছব্দুল মন্ডল নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ম্যাগজিন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, একটি হেলমেট ও ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাব।
অপরদিকে, রাজশাহীতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিয়াকত আলী মন্ডল নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরা গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল,একটি ম্যাগজিন, দুই রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল ও ৮২৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ