কাগুজে বই, ই-বুক এবং অডিও বুক একই বইয়ের তিনটি আলাদা সংস্করণ এবং তিনটি আলাদা বাজার। পাঠকেরও আগ্রহ আছে বয়স ভেদে এই তিন সংস্করণে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই তিন মাধ্যমই বেশ জনপ্রিয় হলেও দেশের বাজারে কাগুজে বই বাদ দিলে ই-বুক ও অডিও বুকের বাজার একদম ফাঁকা বললেই চলে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক নির্দেশনা পেলে ই-বুক ও অডিও বুকও হতে পারে প্রকাশক ও লেখকের বড় আয়ের উৎস।
ধরুন আপনার পছন্দের একটি বই কর্মব্যস্ততার কারণে পড়তে পারছেন না। তবে কার্মস্থলে যাওয়ার পথে গণপরিবহনে বসে সেই বইটির কথা। কেমন হত যদি বইটির বৈধ ই-বুক বা অডিও সংস্করণ পাওয়া যেত মুঠোফোনেই? উন্নত বিশ্বে বইয়ের কাগুজে সংস্করনের সাথেই প্রকাশ হয় ই-বুক ও অডিও বুক সংস্করণ। তাই পাঠকরা চাইলেই নিজের সুবিধামতো সংস্করনে পছন্দের বইটি পড়েন। বাংলাদেশের পাঠকদেরও এ নিয়ে বেশ আগ্রহ থাকলেও ই-বুক মেলে না।
ই-বুকে আগ্রহী পাঠকেরা বেশিরভাগই তরুণ বয়সের, বড়রাও সময়ের প্রয়োজনে এই সংস্করণের সহযোগিতা চান কাগুজে বইয়ের পাশাপাশি। বইয়ের মলাটেই থাকতে পারে ই-বুক বা অডিও বুকের কিউ আর কোড যা ক্রেতা পাঠকের মুঠোফোনেই কাজ করবে। এতে বন্ধ হবে অবৈধ ই-বুকের বাজার যেখানে লেখক বা প্রকাশক পান না কোন রয়েলিটি।
লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. সরকার আব্দুল মান্নান জানান, দেশের কোন প্রকাশনাই এখনও এই সংস্করণ নিয়ে কাজ করতে খুব বেশি আগ্রহী নয়। তিনি আরো বলেন ই-বুক বইয়ের বাজার বাড়াবে আয় বাড়াবে, পাঠকও বাড়াবে। পাঠক ও লেখকের আগ্রহ থাকার পরেও বাজারে ই-বুক ও অডিও বুক পাওয়া যায় না? প্রশ্ন ছিল বাংলা একাডেমির এই কর্তা খালিদ ইবনে মারুফ কাছে। তিনি বলেন, এটি এখন সময়ের দাবী, দেশীয় প্রকাশনীগুলো সেই দিকে কাজ করছে যদিও গতি খুবই ধীর। তবে এই দিনে নতুন প্রকাশনারা বেশ আগোচ্ছে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি
বাংলা একাডেমির রি-প্রিন্ট সাব-ডিভিশন এই সহকারী ব্যবস্থাপক মনে করেন বইয়ের থেকে আয় ও পাঠক ধরে রাখতে এই নতুন ডিজিটাল সংস্করণগুলো বেশ ভুমিকা রাখবে। যদিও এ খাতে দেশিয় প্রকাশকরা ধীর পায়ে আগোচ্ছে। যা আগামীতে আরো বাড়বে বলে আশাবাদি তিনি।