অবসরকালিন দিনগুলো কি ভাবে কাটবে তা নিয়ে আগেই পরিকল্পনা করে ফেলছে অনেকে, পেশাজীবী একটি মানুষের নির্ধারিত কর্মজীবনের শেষ পরিনতি অবসর। একটা সময় ছিলো যখন চাকুরী থেকে অবসরে যাওয়া মানেই মানুষ মনে করতো সব কিছু থেকেই অবসর। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। সমাজ কর্মীরা মনে করেন, সামজের প্রবীণ এই জনগোষ্ঠীকে বার্ধ্যক্যেও থাকতে হবে সজিব।

ড. মো আজিজুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এবং জ্ঞানেন্দ্র নারায়ন বিশ্বাসও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব। এক সাথে দু জনেই কাজ করেছেন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে। তবে অবসর পরবর্তী জীবনের গতিধারা কি হবে আগেই প্রস্তুতি ছিলো তাদের। কাগুজে হিসেবে প্রবীনের কাতারে নাম লিখালেও মনন এবং কর্মে তারুণ্যকেই ধারন করছেন তারা। সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করা লেঃ কর্নেল (অব) ডা. কানিজ ফাতেমা সুলতানা রিটায়ার্ড নামের অবসর জীবন শুরু করেছেন অর্ধযুগ আগে। দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ ‘কক্ষোনো মনে হয়নি থামতে হবে’।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে কদর ও বাড়ে চিকিৎসা পেশার সাথে জড়িতদের। নিজের জীবন থেকেই তা তুলে ধরেন ফিজিওলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন। নিজ কর্ম, অভিজ্ঞতা এবং প্রজ্ঞা দিয়ে বাধ্যর্ককে হার মানিয়ে কাজ করে চলছেন ৮৫ বছরের তারুন্য দিপ্ত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট বাসেত মজুমদার। সমাজ বিনির্মানে প্রবীন এবং তরুনের সমন্বয়ে বিশ্বাসি তিনিও। জীবনের শেষ লগ্ন পর্যন্ত সক্রিয় থাকার এমন উৎসাহিত হবার মত উদাহরন থাকলেও সমাজে এর ব্যাতিক্রম চিত্রই বেশি। প্রাতিষ্ঠানিক অবসরের পরে নানা বিবিধ চিন্তায় রোগ শোকে আক্রান্ত হওয়া চিরায়িত খবর।সমাজ কর্মীরা মনে করেন, বার্ধ্যক্যেও থাকতে হবে সজিব। তবে ক্রমবর্ধমান প্রবীনদের নিয়ে এক্ষুনি অগ্রসর হবার পরিকল্পনা জরুরী বলে মত বিশিষ্টজনদের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে