রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বিমান বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন দেশের উন্নয়নে তাদের আরো অবদান রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
রাষ্ট্রপতি বিএএফ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে আয়োজিত ন্যাশনাল স্ট্যার্ন্ডাড এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়নে আরো অবদান রাখতে এই বাহিনীর আধুনিকায়ন আরো সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রপতি এই বাহিনী প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ সে্েপ্টম্বর এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই বাহিনী সে সময়ে মাত্র তিনটি যুদ্ধ বিমান নিয়ে পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়েছিল। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবোর্চ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তÍুত থাকতে বিএএফ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। রাষ্ট্রপতি তাদেরকে স্মরন করিয়ে দেন, দেশ প্রেমিক সেনারা তাদের জীবন উৎসর্গ করবে, কখনো আত্মসর্মপণ করবে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন বিএএফ উচ্চ কারিগরি ভিত্তিক বাহিনী। তাদের পেশাগত দক্ষতার সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ফলে বিমান বাহিনীর সদস্যদেরকে জাতির সেবায় নিজেদেরকে দক্ষ আদর্শ সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর সৈন্য ও কর্মকর্তাদেরকে আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে বিমান বাহিনী একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি বিমান বাহিনীর জন্য বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো দেশের এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির ২১০তম রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট বাংলাদেশের প্রথম আইএসও সনদপ্রাপ্ত বিমান ওভারহোলিং প্রতিষ্ঠান। এই ইউনিট নিজস্ব কারিগরি জনবলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১২২টি পিটি ৬ বিমানের ওভারহোলিং কাজ সম্পন্ন করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করেছে। চীনের জিলিন এভিয়েশন কার্যদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ এই ইউনিটকে ‘সার্টিফিকেট অব প্রফেশনাল এক্সিলেন্স’ প্রদান করেছে। এ সব ধারাবাহিক অর্জন ও কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মতিউর রহমান ঘাঁটি ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্জন করেছে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বিমান ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছুলে বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু এসরার এবং বিএএফ বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির কমান্ডার এয়ার কমোডর মো. শফিকুল আলম তাকে অভ্যর্থনা জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পরে বিমান বাহিনী প্রধান মার্শাল আবু এসরার এবং প্যারেড কমান্ডার উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপুকে সঙ্গে নিয়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন।