জহির সিকদার,ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।। ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ  উপজেলার আশুগঞ্জ সদর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  পদপ্রার্থী,গরীব অসহায় মানুষের আস্থার ঠিকানা-সমাজসেবক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুন রাজনীতিবিদ এসএম তোফায়েল আলী রুবেল শিকদার।
  তিনি ১৯৭৪ সালের ৩১ শে আগষ্ট আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে (শিকদার বংশ) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম রিয়াজুল করিম সিকদার।  তার দাদাও ছিলেন চেয়ারম্যান । এস এম তোফায়েল আলী রুবেল সরকারী হাজি আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৮৯ সালে এস এস সি,১৯৯১ সালে হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং ১৯৯৩ সালে হাজি আসমত কলেজ ভৈরব থেকে বি এ পাশ করেন। তিনি এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি এই করোনা সংকটে অভাবনীয় অবদান রেখে চলেছেন। একই সাথে সুযোগ পেলে সেবার মান আরো বাড়াতে চান তিনি, এজন্য সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন। এলাকার জনগন বলেন,এখানকার উন্নয়নের স্বার্থে ও গরীব-অসহায় মানুষের জন্য তার মত মহৎ মানুষের প্রয়োজন।তারা এসএম তোফায়েল আলী রুবেল কে সব সময় পাশে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।এস এম তোফায়েল আলী রুবেল  বলেন,আমি মানুষের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। তিনি আরো বলেন,জনগন আমাকে ভালবাসে,তারা সর্বদা আমার পাশে আছে,আমি  নিজ উদ্যোগে করোনাকালে অনেক গরীব-অসহায় মানুষের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি,মাস্ক বিতরণ করেছি। তাছাড়া শীতের শুরুতেই   গরীব ও  অসহায়ের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে কম্বল বিতরন করে থাকি।সর্বদা সব সময় চেষ্টা করি মানুষের উপকার করার জন্য। জনগন আমাকে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান   হিসেবে দেখতে চাই।
তাই আমিও তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে বলতে চাই,আমি যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই তাহলে “সৃষ্টির লক্ষে পরিবর্তনের পক্ষে, আমার দৃঢ় অবস্থান” গন মানুষের মাঝে প্রসারিত করব।  সেই সাথে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন কে একটি আদর্শ ইউনিয়ন  হিসেবে গড়ে তুলবো।
মাদক ও দুর্ণীতিমুক্ত মডেল আশুগঞ্জ গড়তে নৌকা চান এস,এম,তোফায়েল আলী রুবেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ  উপজেলার  সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নৌকার মাঝি হতে চান  উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা   এস এম তোফায়েল আলী রুবেল। তিনি পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে সাধারণ নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। জনগণ পরিবর্তন চান বলেই দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তার পক্ষে এলাকাবাসীর ঐক্য ততই বাড়ছে।সরেজমিনে এলাকায় ঘুরে জানা যায়, ভোটারদের সমর্থন আদায়ের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে সিনিয়র নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন আদায়সহ সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন সমানতালে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে একেবারে নতুন মুখ হলেও তিনি সবার পরিচিত মানুষ। এলাকার যে কোন মানুষ সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক ছুটে যান তিনি। তার সেবামূলক কর্মকান্ডের ফলে ইতোমধ্যেই সকল শ্রেণিপেশার মানুষের আস্থার প্রতিকে পরিণত হয়েছেন তিনি। এছাড়া ছাত্রজীবন থেকেই  রাজনীতির সাথে জড়িত,  সকলের আপনজন ও বিপদের বন্ধু। তাই ইউপি নির্বাচনে তার প্রার্থীতার ঘোষণা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।তোফায়েলের বাবা আশুগঞ্জের  বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মরহুম  রিয়াজুল করিম শিকদার।  তিনি ছিলেন মহান  ও আওয়ামীলীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তোফায়েল আলী রুবেল ও তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে  ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে অংশ নেন।
১৯৮৪ সাল থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন তোফায়েল আলী রুবেল। তখন থেকেই   দলের দূর্দীনে ও বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন । ছাত্ররাজনীতি কালে তিনি (১৯৯০-১৯৯১)হবিগঞ্জ জেলার বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্ররাজনীতি শেষ করে তিনি উপজেলা  ছাত্রলীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৮ হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে অধিষ্টিত ছিলেন। শুধু তাই নয় ২০০৫ সাল হতে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, ২০১৪ সাল হতে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এছাড়াও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আশুগঞ্জ গণগ্রন্থাগার এর আজীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য সমন্বিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র(আশুগঞ্জ), দাতা সদস্য(সস্ত্রীক)  চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনার্স কলেজ (চিনাইর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া), সাধারণ সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারস এন্ড কমার্স, সভাপতি আশুগঞ্জ উপজেলা ইলেক্ট্রিক সমিতি।
তিনি যদিও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য তথাপী তিনি ১৯৯২ সাল হতে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দাপ্তরিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাবেক তুখোর এ ছাত্রনেতা। উল্লেখ্য তৎকালীন সময়ের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। তিনি দলের দুর্দীনে যেমন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি সুদিনে এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছেন।
রাজনীতির বাইরে  নানাবিধ ব্যবসায়ী পেশায়  নিয়োজিত রয়েছেন।সে সুবাধে তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কন্ট্রাক্টরী কাজের মাধ্যমে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তা ঘাট,মসজিদ,আশুগঞ্জ উপজেলা  মুক্তিযোদ্ধা ভবন সরকারি টাকায় তিনিই কন্ট্রাক্টরী কাজের মাধ্যমে সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী গড়ে তুলে দিয়েছেন ।  এ ছাড়াও অন্যান্য স্থাপনা সরকারী টাকায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করেছেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে সমাজ উন্নয়নে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। তাই অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে কখনো আপস করিনি। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব। তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। তাই মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ার লক্ষ্যে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। মানুষ পরিবর্তন দেখতে চাই। তাই তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে আমাকে অবশ্যই মনোনয়ন দেবেন এটাই প্রত্যাশা করছি। আমি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে সকলকে সাথে নিয়ে পরিকল্পিত ইউনিয়ন গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে