জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গমের পর এই  প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ আমদানি করা। গত বৃহস্পতিবার স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এতে দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর আখাউড়া দিয়ে  আমদানি কার্যক্রমে গতি আসতে শুরু করেছে। সে সুবাদে রপ্তানিমুখী এই বন্দরে আমদানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে বইছে খুশীর জোয়ার। উল্লেখ্য যে, গত ৮ আগস্ট আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩০টি ট্রাকে প্রায় ৬০০ টন গম আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে গম আমদানির বিষয়ে রাজশাহীর মেসার্স বিসমিল্লাহ ফ্লাওয়ার মিলের সঙ্গে কলকাতার মেসার্স ব্রিজ কিশোর প্রসাদের চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ভারত থেকে ১ হাজার ৩২০ টন গম আমদানির কথা  উল্লেখ রয়েছে  এই দুই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, ১ম চালানের ৬০০ টন গম ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে মালবাহী ট্রেনে করে ত্রিপুরা রাজ্যের  আগরতলায় আনার পর ৮ আগস্ট আখাউড়ায় পৌঁছায়। খোঁজ নিয়ে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে  জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে স্থলবন্দরে শওগাত ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২৪ দশমিক ২৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে রোববার দুপুরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মা-মণি এন্টারপ্রাইজ আমদানি করা পেঁয়াজ ট্রাক থেকে খালাস করে। আমদানি করা পেঁয়াজ থেকে ৬৬ হাজার ৮৫৮ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

বন্দরের শ্রমিক মোর্শেদ মিয়া, রাসেল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, পণ্য আমদানি শুরু হওয়ায় তাঁরা বেশ খুশি। এতে তাঁদের কাজ করার একটি বিশাল সুযোগ হয়েছে। সব ধরনের পণ্য যেন এ বন্দর দিয়ে আমদানি করা যায়, সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মা-মণি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইলিয়াস মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার আসা পেঁয়াজই এ বন্দর চালু হওয়ার পর প্রথম পেঁয়াজ আমদানি। ভালো দাম পাওয়া গেলে এ বন্দর দিয়ে আরও পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে জানান তাঁরা। স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন পণ্য আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীরা যেমন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, তেমনিভাবে বন্দরের শ্রমিকেরাও এখন বেশ খুশি। দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো এই বন্দর দিয়ে যদি সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জানান, শুঁটকি, আদা ও গমের পর এ বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন পেলে বন্দরের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও অনেক লাভবান হবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে