কে এম মিঠু টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।। টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে পানি বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। এ‌তে নদীর পা‌নি বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ধলেশ্বরী, লৌহজং, বৈরাণ, বংশাই ও ঝিনাই নদ-নদীর পানিও বেড়েছে।

গতকাল বুধবার যমুনা নদীর পা‌নি বে‌ড়ে যাওয়ায় জেলার ভুঞাপুর উপ‌জেলার কষ্টাপাড়া, খানুরবা‌ড়ি ও ভালকু‌টিয়া ও গোপালপুর উপজেলার সোনামুই ও ভরুয়া গ্রা‌মের বেশকিছু পরিবার পা‌নিব‌ন্দি হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে। নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল অভ্যন্তরীণ নদীতীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে।যমুনা নদীর পা‌নি গেল দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে এ পানি বৃদ্ধির হার বে‌ড়ে‌ছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।জানা গে‌ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী‌তে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদের পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফ‌লে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর, গোপালপুর,মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ত‌লি‌য়ে গেছে ফসলি জমি। কোথাও কোথাও ভাঙনও দেখা দি‌য়ে‌ছে।

ত‌বে জেলায় বি‌ভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়লেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পানিবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় পাউবো ও কৃষি বিভাগ।জেলা পা‌নি উন্নয়ন বো‌র্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পা‌নি বৃ‌দ্ধি পে‌য়ে‌ছে। এ‌তে নদীর পা‌নি লোকাল‌য় বা নিম্নাঞ্চ‌লে প্রবেশ ক‌রে পা‌নিব‌ন্দি হ‌চ্ছে মানুষজন। পা‌নিবৃ‌দ্ধি অব্যাহত থাক‌লে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা র‌য়ে‌ছে।

টাঙ্গাইল নিউজ ডেস্ক।। বিডি টাইমস নিউজ 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে