জহির সিকদার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের তালশহর বাজার ও তারুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে অভিযানকালে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে আশুগঞ্জের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল হক এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।এসময় উপজেলা মৎস্য অফিসার রওনক জাহান প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য অফিসার রওনক জাহান জানান, তারুয়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বারসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর অবৈধ কারন্ট জালের ব্যবসা করে আসছিল। এসব জাল বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করার সময় ইতোপূর্বে আব্দুল জব্বারকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানাও করা হয়। এরপরও চক্রটি থেমে থাকেনি। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার উপজেলার তালশহর বাজারে অভিযান চালিয়ে কিছু কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে উক্ত গ্রামের মৃত ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বার এবং তার ভাই আব্দুল জলিল ও অলি মিয়ার ঘর থেকে গোদামজাত অবস্থায় আরো বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার পরিমান প্রায় পাঁচ লক্ষ মিটার ও মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা হবে। এসময় আব্দুল জব্বার ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।পরে জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলি ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশরাফুল হকের উপস্থিতিতে আব্দুল জব্বারের উঠোনেই পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরিবন্দ বিশ্বাস বলেন, কারেন্ট জাল মৎস্য সম্পদের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর। তাই মৎস্য সংরক্ষণ আইনে কারেন্ট জাল উৎপাদন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।এসব জাল দিয়ে জেলেরা বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিলে দেশি প্রজাতির ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করে থাকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত পানির সাথে আসা মা ও পোনা মাছগুলি কারেন্ট জাল দিয়ে ধরে ফেলা হচ্ছে। তাই মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ