স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটায় দুর্নীতি এক্ষন সবচেয়ে বেশি এটি অনেক পুরনো অভিযোগ এবং অনেকেরই জানা। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটার নামে লুটপাট চলছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে, তবুও কেও কোন কর্নপাত করছিল নাহ, বিব্রত হচ্ছিল সরকার। করোনাকালে সেই দুর্নাম আরো বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার-সিএমএসডি। নতুন পরিচালক দায়িত্ব নিয়েই সেখানে হাত দিয়েছেন। করোনার চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় আড়াই মাস ধরে সূক্ষ্ম নজর রাখছেন তিনি। দাবি করেছেন, এরই মধ্যে সরকারের ১২৪ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ঔষধাগার- সিএমএসডি। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ওষুধ, চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটা ও সরবরাহের দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু করোনার সময় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয় প্রয়াত সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল্লাহকে। এরপর গত ২ জুন সিএমএসডির শীর্ষ দায়িত্ব পান আবু হেনা মোরশেদ জামান। এই আড়াই মাসে তিন ধাপে মাস্ক, পিপিই, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পিসিআর কীট, ভেন্টিলেটরের মতো ১৭ ধরণের সামগ্রী কেনা হয়েছে। নতুন পরিচালকের দাবি, সরকারি প্রক্রিয়া মেনে এবং ঠিকাদারের সাথে দর কষাকষি করে ৫২২ কোটি টাকার সরঞ্জাম কেনা হয়েছে ৩৯৮ কোটি টাকায়।
সিএমএসডির পরিচালক আরও জানান, ক্রয়াদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সিণ্ডিকেটের সদস্য ও দুর্নাম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া হয়েছে। দুর্নাম ঘোচাতে নড়েচড়ে বসেছে সিএমএসডি। দায়িত্ব অবহেলার দায়ে অনেককে শাস্তিও দেয়া হয়েছে।
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ