নিউজ ডেস্ক ।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে ইবি উপাচার্য বলেন,’জাতির পিতাকে ইবির ১৭৫ একরে চর্চার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি’।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেছেন, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ব্যর্থ স্বাধীনতা সংগ্রামে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সর্বৈব সফল স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গতা দিয়ে গেছেন। সেই কীর্তিমান মহাপুরুষকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একরে চর্চার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে ‘শ্বাশত মুজিব’ ও ‘মুক্তির আহবান’ নামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার বিদায়ের প্রাক্কালে বিনম্র শ্রদ্ধায় অবনত মস্তকে স্মরণ করি মহীয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি কৃপা করে মেগা প্রজেক্টটি না দিলে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ জায়গায় দাঁড়াতো না। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দকে। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে। তিনি আরও বলেন, আমার উদ্যমের মুল প্রেরণাশক্তি আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা। প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের আমি স্বপ্ন দেখা শেখানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছি এবং তারা অনেকখানি এগিয়েছে। উপাচার্য বলেন, আমাদের আনন্দ এটাই যে, আমরা একটি ট্রেনকে লাইনে তুলে দিতে পেরেছি।
আজ (১৯’ই আগস্ট) দুপুরে প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলাস্থ সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ ২০২০ ‘মহানক্ষত্র মুজিব ও ‘ইম্মর্টাল মুজিব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু এক অবিস্মরণীয় নেতা। তাঁর কীর্তিমান জীবন নিয়ে অনন্তকাল ইতিহাস রচিত হবে। তিনি প্রকাশিত গ্রন্থ দুটির ভুঁয়সী প্রশংসা করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির অন্যতম ছিল বাংলা ও ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশ করা। তা সম্পন্ন হওয়ায় তিনি উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জীবনে শোকের মাস হলেও আজকের দিনটা আনন্দের। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আজ আমরা ‘মহানক্ষত্র মুজিব’ ও ‘ইম্মর্টাল মুজিব’ গ্রন্থ দ্ধুসঢ়;ইটি প্রকাশ করতে পেরেছি। এ প্রকাশনার সকল কৃতিত্ব উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের উল্লেখ করে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের অজানা অধ্যায় তুলে ধরে উপস্থিত সকলকে তা সভা-সমাবেশে তুলে ধরার আহŸানও জানান তিনি। সাফল্যের সাথে চার বছর পূর্ণ করতে পারায় ট্রেজারার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
‘মহানক্ষত্র মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাঃ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস. এম. আব্দুল লতিফ। অনুষ্ঠানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নাসিম বানু, আইআইইআর-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাঃ মেহের আলী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. মোঃ জাকারিয়া রহমান, প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম¥ন, প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম, প্রেস প্রশাসক ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামাল, পরীক্ষা-নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহŸায়ক মোঃ আলমগীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সাধারণ কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আতিয়ার রহমান, সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ আব্রাহাম লিংকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত)ড. নওয়াব আলী খান। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত গ্রন্থ দুটিতে বিখ্যাত লেখকদের লেখা স্থান পেয়েছে। ‘মহানক্ষত্র মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাঃ সাইদুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোঃ নওয়াব আলী খান। ইংরেজি ‘ইম্মর্টাল মুজিব’ স্মারকগ্রন্থের সম্পাদনা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. আব্দুল লতিফ। দুটি স্মারকগ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশনায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী। গ্রন্থ দুটি শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানান্বেষণে পথিকৃৎ হয়ে থাকবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেন। অভূতপূর্ব সততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে চার বছরের দায়িত্ব শেষ করায় তাঁরা উপাচার্যের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ