জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় একজন ভূয়া চিকিৎসকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা যায় ঐ ভূয়া চিকিৎসক উপজেলা শহরের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে ‘ইরা ডায়ানষ্টিক সেন্টার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার নাম ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী। সে দীর্ঘদিন যাবত ভূয়া সনদের মাধ্যমে মানুষের সর্বরোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত এই ডায়ানষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ভূয়া সনদ ব্যবহারের দায়ে ৫০০০(পাঁচ হাজার টাকা) জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোঃ সুমন ।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, পাশ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার না হয়েও ভূয়া ডাক্তার সেজে প্রথমে ইরা মেডিকেল সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী কসবা উপজেলার পৌর শহরে একটি বহুতল ভবনে “ইরা ডায়ানষ্টিক সেন্টার “নামে আরো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্টান গড়ে তোলার পর তিনি নিজেই সর্বরোগের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন। সে নিজে ডাক্তার না হয়েও ভূয়া ডাক্তার সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা শুরু করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঐ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত।
ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী একজন ভুয়া ডাক্তার নামধারী প্রতারক এটা ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমান আদালত ৫’হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তার ডায়ানষ্টিক সেন্টারটি সিলগালা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে সিলগালা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত ঐ ভুয়া ডাক্তারকে ডায়ানষ্টিক সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ নির্দেশ দেন এবং প্রকৃত সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার এনে আদালতের অনুমতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালানোর ও নির্দেশ দেন।
প্রতিষ্টানের মালিক ভূয়া চিকিৎসক ইয়াছিন আলম সিদ্দিকীকে এক সপ্তাহের সময় বেধেঁ দেওয়া হয় এবং আদেশ অমাণ্য করলে পরবর্তিতে সিলগালা করা হবে বলে জানিয়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, এর আগেও তাকে জরিমানা সহ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি পুনরায় এই ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চালু করে ডাক্তার সেজে মানুষের সাথে প্রতরনা করে আসছিল ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, ইরা ডায়ানষ্টিক সেন্টারের মালিক ভূয়া ডাক্তার সেজে এই প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিল। আমরা অভিযোগ পেয়ে এর বিরুদ্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি। নামধারী ডাক্তার ইয়াছিন আলম সিদ্দিকী কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে সে কোন ডাক্তার নন। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে উপজেলায় অবস্থিত সকল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জহির সিকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্স নিউজ