১৯৭১ থেকে ২০১৭ পেরিয়েছে অনেকটা সময়। আর এই দীর্ঘ সময়ে সরকারি-বেসরকারি নানামুখি পরিকল্পনায় বিস্তৃত হয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। সেই সাথে বেড়েছে ভালো ফলাফলের হিরিক। শুধু রংপুর অঞ্চলেই স্বাধীনতা পরিবর্তি সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ গুন। কিন্তু, কতটুকু বেড়েছে শিক্ষার মান? শিক্ষাবিদদের মতে , শিক্ষা পরিণত হয়েছে পণ্যে। যদিও শিক্ষা কর্মকর্তাদের দাবি, শিক্ষার মানোয়ন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বলা হয়, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।তবে সেই মেরুদন্ডে আছে রকম ফের। শিক্ষায় হাতেখড়ির পর থেকে একেকটি শিশু বেড়ে উঠছে একেক শিক্ষা ব্যবস্থায়। বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে আছে ১১ ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা। যার বেশীরভাগই বেসরকারিভাবে পরিচালিত।
২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম চালুর কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছেনা।গত ৪৬ বছরে রংপুর বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন। বর্তমানে ১৭ হাজার ৭৬৯টি স্কুলের মধ্যে ৯১৭০টি সরকারি। মাধ্যমিকে ২৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি মাত্র ৩৯টি। আর ২০৭টি সরকারি কলেজের বিপরীতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ৩৭৮টি। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে দুটি।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি বেসরকারি
১৭,৭৬৯ ৯১৭০ ৮৫৯৯
মাধ্যমিক
২৯৩৬ ৩৯ ২৮৯৭
কলেজ
৫৯৯ ২৭ ৫৭২
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও এর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। শিক্ষার সম-অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের মতে, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বিরাজ করছে দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়। শুধু তাই নয়, দিন দিনই বরাদ্দ কমছে শিক্ষাখাতে। ১৯৭২ সালে জাতীয় বাজেটের ২১ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল যেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা এসে দাড়িয়েছে ১১ শতাংশে।
শিক্ষাবিদদের মতে, বছর বছর পাসের হার বাড়লেও বাড়েনি শিক্ষার মান। গুনগত মান হারিয়ে এখন সার্টিফিকেট সর্বস্ব। তবে তা মানতে নারাজ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। শিক্ষার মান উন্নয়নে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে হুমকিতে পড়বে শিক্ষিত জাতি গড়ার কর্মসূচি এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ