মাছ ধরাই আয়ের প্রধান উৎস নিঝুম দ্বীপের ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দার। কিন্তু জলদস্যুদের বেপরোয়া তান্ডবে নিঃস্ব হচ্ছে তাদের অনেকেই। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচার। ঋণ পাওয়ার সুযোগ না থাকায় এদের হাতে জিম্মি অনেক দরিদ্র জেলে পরিবার।

নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে চল্লিশের দশকে গড়ে ওঠে নিঝুম দ্বীপ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বৈরী আবহাওয়া সঙ্গে নিয়ে দ্বীপে বাস করছে অর্ধলক্ষ মানুষ। চাষাবাদের জমি থাকলেও বেড়িবাধ না থাকায় নষ্ট হয় ফসল। তাই বেশিরভাগ পরিবারই নির্ভরশীল মাছ ধরার ওপর।তবে জলদস্যুর আতংকে গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণ করতে পারেন না জেলেরা। অন্যদিকে, ব্যাংক ঋণ সুবিধা না থাকায় তারা দাদন ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি।

বছর দশেক আগে নিঝুম দ্বীপকে ইউনিয়ন ঘোষণা করা হলেও তেমনভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বরাদ্দ পায়না ইউনিয়নের মানুষ। বিতরণ নিয়েও আছে নানা অভিযোগ।দ্বীপের নিরাপত্তায় রয়েছে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। জলদস্যু মোকাবেলায় নৌ-পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের পুলিশ কর্মকর্তা। বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ৯১ বর্গমাইলের এই নিঝুম দ্বীপের মানুষের আয়ের প্রধান উৎসই মাছ। কিন্তু মৎস আহরণ করতে তাদের জলদস্যুর আক্রমণের শিকার হতে হয়। তাই উপকুলীয় এলাকায় নিরাপত্তার দাবি তুলছেন তারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে