পিলখানা হত্যাকাণ্ডের আট বছর আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে গুলিতে নিহত হন তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা ও ১৭ বেসামরিক নাগরিক। এ ঘটনায় নিম্ন আদালতে ১৫২ জনের ফাঁসিসহ নানা মেয়াদে সাজা হয়েছে ৮৫০ জনের। চলতি বছরেই উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শেষে রায় কার্যকর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯। আচমকা গোলাগুলিতে কেপে উঠে পিলখানার তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তর।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পিলখানার চারপাশে অবস্থান নেয় সাজোয়া যান আকাশে বিমানবাহিনীর হেলিকাপ্টার। অপারেশন শুরুর আগেই আসে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর। বাড়তে থাকে নিহতের তালিকা। তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও গুলিতে নিহত হন ১৭ বেসামরিক নাগরিক। এ ঘটনায় মামলা হয় তিনটি। বিদ্রোহের মামলায় ছয় হাজার ৪৬, হত্যা মামলায় ৮৫০ ও বিস্ফোরক মামলায় আসামি হন ৭৮৭ জন।

হত্যাকাণ্ডের আট বছর পেরুলেও শেষ হয়নি বিচার। চলতি বছরেরই উচ্চ আদালতের কার্যক্রম শেষে রায় কার্যকর শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।এ ঘটনার পর ঢেলে সাজানো হয় ২১৮ বছরের পুরোনো এই সংস্থিাটিকে। বদলে যায় পোশাক, বিডিআর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাহিনীটি।

নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে