আন্তর্জাতিক রুটের পরিধি কিছুটা বাড়লেও ব্যাপক সম্ভাবনা সত্ত্বেও বিমান বন্দরগুলোর অবকাঠামোগত দুর্বলতা, দক্ষ জনবল ও প্রয়োজনীয় অর্থায়নের অভাবে বিমান পরিবহন ব্যবসায় সুবিধা করতে পারছে না বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।
বিশ্লেষকদের মতে, আকাশ সেবায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে জেট ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক জটিলতা দূর করা জরুরি। আর উদ্যোক্তারা চান, দেশীয় বিমান পরিবহন সংস্থার জন্য পৃথক নীতিমালা। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে এভিয়েশন ব্যবসার যাত্রা শুরু। গত দুদশকে দশটি এয়ারলাইন্স এ ব্যবসায় যুক্ত হলেও বর্তমানে টিকে আছে মাত্র তিনটি। উদ্যোক্তারা জানান, শুরুর দিকে এই ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতার অভাব, বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক নীতিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে বন্ধ হয়ে যায় এয়ারলাইন্সগুলো। তবে আশার কথা, চ্যালেঞ্জ নিয়েও এই ব্যবসায় আসছে নতুন এয়ারলাইন্স। নভোএয়ার সিইও ইমরান অসিফ বলেন, ‘দেশের এয়ারলাইন্সগুলো যখন চাচ্ছে যে আর একটু বড় হবে, তখন সেটা করতে গিয়ে আমাদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অবকাঠামোগত রিসোর্সগুলো।’ এ অবস্থায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সরকারের সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে জেট ফুয়েলের দাম সমন্বয় করা ও দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য বিমানবন্দর ব্যবহারে বিভিন্ন চার্জ কমানোর দাবি তাদের।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আয়েটার পূর্বাভাস, এয়ারলাইন্স ব্যবসায় এ বছর ২ হাজার ৯শ’ ৪০ কোটি ডলার মুনাফা হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নীতি সহায়তা পেলে বাংলাদেশও হতে পারে এ মুনাফার অংশীদার।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, আন্তর্জাতিক রুটে দেশীয় বিমানের জন্য চার্জ কমানোর বিষয়টি বিবেচনায় আছে।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইমস নিউজ