বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গ্রাহকদের চাপের মুখে ফেলে টাকা নিয়েছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প অনুসারে বিনামূল্যে বিদ্যুতায়ন হচ্ছে গ্রামটিতে।
অবশ্য পল্লী বিদ্যৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কেউ এই দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়। ২০১৮ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় রয়েছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা। বিনা খরচে সংযোগ দেয়ার কথা এখানে। কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে তার উল্টো। উত্তর তালুকনগর গ্রামে তিন শতাধিক পরিবারকে সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে বড় অংকের টাকা আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলছেন, পল্লীবিদ্যুতের ঠিকাদারের যোগসাজশে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন। টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি কালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেনসহ অভিযুক্তরাও।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় একটি চক্র টাকা আদায় করলেও, সমিতির কেউ এর সঙ্গে জড়িত নন। মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আকন্দবলেন, আমাদের কেউ এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়। তবে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ন্যাশনাল ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ