ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ কারা চিকিৎসক করোনায় আক্রান্তের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হোম কোয়ারেন্টাইনে। কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে ৩ মে রোববার বিকেলে থেকে ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই কর্মকর্তারা বাসায় থেকেই দাপ্তরিক কাজ করবেন। এছাড়াও সতর্কতা হিসেবে আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা কারাগারে প্রায় সাড়ে ১৭শ হাজতি ও কয়েদি রয়েছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ওই চিকিৎসকই কারাগারের একমাত্র চিকিৎসক। সর্বশেষ গত ২ এপ্রিল শনিবার তিনি কারাগারে যান। তখন কারাগারের হাসপাতালে চারজন কয়েদি ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। এছাড়া জেল সুপারের কক্ষেও যান ওই চিকিৎসক। ওইদিনই জেল সুপার ও ডেপুটি জেলার মো. রেজাউল করিমসহ ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীতে রোববার ওই চিকিৎসকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কারা মহাপরিদর্শকের নির্দেশে জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারসহ ছয়জন কারাগারের ভেতরে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। সতর্কতা হিসেবে ছয়জনই বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ৩ মে রোববার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ওই চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসে পৌঁছায়। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় বর্তমানে ওই চিকিৎসক নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আক্রান্ত চিকিৎসক সরাসরি হাতে ধরে কোনো কয়েদিকে চিকিৎসা দেননি। তবে সতর্কতা হিসেবে ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা চারজন কয়েদিকে আমরা আলাদা করে ফেলেছি। ডেপুটি জেলারকে তিনি চিকিৎসা দিয়েছিলেন। সেজন্য আমরা ছ’জন কারাগার থেকে আলাদা হয়ে গেছি। আজকে থেকে আমরা কারাগারের অফিসে যাচ্ছি না। আমাদের ঘরে অবস্থান করার জন্যই আইজি স্যার বলেছেন।

জহির  সিকদার
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে