ভেজাল ওষুধ নিয়ে গত পাঁচ বছরে ড্রাগ কোর্টে ১২১টি মামলা হলেও এর কতগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে জানা নেই ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। এর আগে করা মামলারও হিসাব জানে না অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুর্বল তদন্তসহ অধিদপ্তরের গাফিলতিতে নিষ্পত্তি হচ্ছে না মামলার। এতে তৈরি হচ্ছে না অপরাধীদের শাস্তির নজির।২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে রীড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় করা মামলায় গত নভেম্বরে রায় দিয়েছে ড্রাগ কোর্ট। তবে পাঁচ আসামির সবাই খালাস পেয়েছেন। এর জন্য দুর্বল তদন্তকে দায়ী করে আদালত।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে হিসেবে, গত পাঁচ বছরে ১২১টি মামলা হয়েছে ড্রাগ কোর্টে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৩টি, ১৩ সালে ১৯টি, ১৪ সালে ৩১টি, ১৫ সালে ২৭টি এবং ১৬ সালে ৪১টি মামলা হয়। অথচ এগুলো কতটি নিস্পত্তি হয়েছে বা বাকি মামলার অগ্রগতি কী সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই অধিপ্তরের কাছে। জানা গেছে বেশিরভাগ মামলাই এখন পর্যন্ত নিস্পত্তি হয়নি।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ড্রাগিষ্ট অ্যান্ড কেমিষ্ট সমিতির অভিযোগ, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে আরো বেশি মামলা হওয়ার কথা থাকলেও অধিদপ্তরের দুর্নীতির কারণে অনেকেই ছাড় পাচ্ছেন। আর মামলা হলেও তদারক করছে না অধিদপ্তর।অতীতে মামলা তদারকিতে ব্যর্থতার জন্য জনবল সংকটকে দায়ী করছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তাদের দাবি, এখন সংকট কাটিয়ে উঠেছে তারা।তবে অধিদপ্তরের এ দাবির বাস্তব ভিত্তি নেই বলছেন ওষুধ খাত সংশ্লিষ্টরা।