ঢাকার ব্যারাকগুলো ঘুরে দেখা গেছে পুলিশ কনস্টেবলদের এমনই মানবেতর জীবন যাপনের চিত্র। প্রতিবছর পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়ায় দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে এই সমস্যা। একজন ডিউটিতে গেলে আরেকজন ঘুমান। আবার কেউ অসময়ে ডিউটি থেকে ফিরলে একটু বিশ্রাম নেয়ার জন্য তাকে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘুমিয়ে থাকা সহকর্মী না ওঠা পর্যন্ত। বড় হলরুমের মতো কক্ষগুলোতে সারি সারি বিছানা। একটির সাথে আরেকটি ঠাসাঠাসি করে লাগানো। হাসপাতালের বেডের মতো খাটগুলোতে থাকেন দুই থেকে তিনজন করে পুলিশ সদস্য। তাও পালাক্রমে । বিছানায় যার ঠাই মেলে না তাকে থাকতে হয় মেঝেতে।
সারাদেশে পুলিশের মোট সদস্য আছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩ জন। নতুন ৫০ হাজার জনবল নেয়ার অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের সময়ে ৪০ হাজার ৯০৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। নতুন সৃষ্টি করা এসব পদ ব্যারাক ও আবাসন সমস্যাকে আরো প্রকট করে তুলেছে।
দিনের বেলাতেও ঘুঁটঘুটে অন্ধকার ঢাকার ব্যারাকগুলোর পরিবেশ এতটাই খারাপ যে সুস্থ মানুষও থাকার কয়েকদিনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানালেন অনেক কন্সটেবল। কয়েকটি ব্যারাক ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যদের মানবেতর জীবনযাপনের এমন চিত্র।তবে নীতি নির্ধারকরা জানিয়েছেন সমস্যা সমাধানে এরইমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ইউনিটে ১২টি ব্যারাক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। চলছে নারী পুলিশদের জন্য দেশের ৪৩টি জেলায় ব্যারাক নির্মাণ কাজও । এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯টি বহুতল আবাসিক ভবন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৯টি ভবন নির্মাণের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নতুন যে থানা গুলো করছি তা অত্যন্ত সুন্দর। এই থানার কাজ গুলো শেষ হয়ে গেলে তাদের আর কষ্ট করতে হবেনা।’ পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘পুলিশদের আবাসনের সমস্যা আছে। পুলিশের জন্য ব্যারাক করার স্থান নেই।’
পুলিশের পেশাদারিত্ব বাড়াতে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সুযোগ সুবিধা বাড়ানোও দরকার বলে মনে করেন সাধারণ পুলিশ সদস্যরা।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ