ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃমরণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন ও খেটে খাওয়া মানুষের সবধরনের কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ ঘরের বাইরে থাকছেন না। সকল শ্রেণীর মানুষদের ঘরমুখো করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিরামহীন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস জাতীয় দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।তবে এই আতঙ্কের মাঝেও উল্টো পথে হাটছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটাগুলোতে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এখানকার ইটভাটাগুলোতে হাজারো মানুষ করোনা আতঙ্কের মাঝেও তাদের কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শাহজাদাপুর এলাকায় ‘কল্যাণ ব্রিকস’ ও ‘ইসলাম ব্রিকস’ এ দেখা যায়, করোনা ভাইরাস ঝুঁকির মাঝেও ইটভাটা দু’টিতে অন্তত তিন শতাধিক মানুষ ধূলোময়লার মধ্যে ইট তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে ইটভাটায় কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, করোনা প্রতিরোধে দেশের অন্যান্য জায়গায় ইটভাটা শ্রমিকদের ছুটি হলেও এখানে নেই। মালিকেরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “করোনা বুঝি না, আরও ১৫ দিন ইট তৈরির কাজ চালিয়ে যেতে হবে। নইলে ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে শ্রমিকেরা বাড়ি যেতে হবে।”

কল্যাণ ব্রিকস’ ও ‘ইসলাম ব্রিকস’ এর একাধিক শ্রমিক আক্ষেপ করে জানান, মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘আমাদের (শ্রমিক) নাকি করোনা’র ভয় নেই।’ এ পরিস্থিতিতে আমাদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যাপারেও কোনো ধরনের ব্যবস্থাই নেননি মালিকপক্ষ।এ ব্যাপারে জানতে ইটভাটা দুটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিও গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দেননি। বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবেন বলে পাশ কেটে যান।

জহির সিকদার
নিউজ ডেস্ক ।। বিডি টাইম্‌স নিউজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে