বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আরো একটি স্থলবন্দর চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদেশের সরকার। খাগড়াছড়ির রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরারসাব্রুম এলাকায় হবে এ স্থলবন্দর। শিগগিরই এ বন্দর নির্মাণ শুরু হবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্থলবন্দরটি আবারো চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী রামগড়ে স্থলবন্দর চালুর আগে ফেনী নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। চলতি মাসের শেষে এ সেতু নির্মাণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রসাশন। ব্যবসায়িরা বলছেন বন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
রামগড় স্থল বন্দরের জন্য ১০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে। এটির নির্মাণ প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জে স্থলবন্দর পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। তারা বলছেন এই বন্দর চালু হলে কলকাতার সাথে ঢাকার দূরত্ব কমার পাশাপাশি কমবে মালামাল পরিবহনের খরচ।
বন্দরটি চালু হলে শুধু চুয়াডাঙ্গা নয় মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। এছাড়া সীমান্তবর্তী এসব জেলার যুবকরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বলছেন জনপ্রতিনিধিরা।
বন্দরটি চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে প্রস্তুত। ভারতীয় অংশের অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাস থেকে বন্দরের অবকাঠামোগত কাজ শুর হতে পারে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।বন্দরটি দ্রুত চালু হলে দেশের অন্য বন্দরগুলোর উপর চাপ কমবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।