কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হরহামেশাই বাড়ছে লাইসেন্স করা অস্ত্রের ব্যবহার। মূলত আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে কিন্তু কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হরহামেশাই বাড়ছে এর ব্যবহার।
এতে যেমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে সহিংসতার তেমনি জননিরাপত্তাও পড়ছে হুমকিতে।
সচেতন মহল ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন করে এই মহড়া থামানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। ২০১৫ সালের ১৫ আগষ্ট। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে জড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুইপক্ষ। সেখানে অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায় বহিষ্কৃত পুলিশ সদস্য আনিসুর রহমান আনিস।
এসব ঘটনায় ব্যবহার হওয়া সব অস্ত্র বৈধ হলেও মানা হয়নি আইনের বিধিনিষেধ। ১৮৭৮ এর অস্ত্র আইনে বিধিনিষেধ আছে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরার উপর। তা না মানলে লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তি ও জরিমানার বিধানও রয়েছে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে কতটা মানা হচ্ছে তা? এ পর্যন্ত প্রায় সব অভিযোগই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাই দলীয় ভাবমূর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষজ্ঞ বলছেন, আত্মরক্ষার জন্য নেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের অন্যকাজে ব্যবহার জননিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। তবে অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারে শাস্তির কথা জানালেন জেলা প্রশাসক। দেশের বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ঠেকাতে একটি নীতিমালার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে এখনো।