মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তখনকার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুইজনের বিরুদ্ধে মামলার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন। সাত বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এই প্রথম যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হল।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত। অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে ঢাকায় গণহত্যায় নামে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।এরপর মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন অনেক বাঙালি সেনাকর্মকর্তা। তবে কিছু বাঙালি সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানি বাহিনীর হয়েই অংশ নেন গণহত্যায়। তাদের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের মেজর ওয়াহিদুল হক ও কুমিল্লার ক্যাপ্টেন শহীদুল্লাহ। এই দুজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ মামলার পর তদন্ত শুরু করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ক্যাপ্টেন শহীদুল্লাহ গ্রেপ্তার হলেও মেজর ওয়াহিদুল হক পলাতক।কিছু বাঙালি সেনা কর্মকর্তার পাশাপাশি, ২৪ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাদের অনেকেই আইনশৃংখলা বাহিনীর উচ্চপদে নিয়োগ পান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এখন মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ছয় শতাধিক মামলা নিয়ে কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার প্রধান।
নিউজ ডেস্ক, বিডি টাইম্স নিউজ