ঢাকার গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা ও জিম্মি ঘটনার খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে ফলাও করে প্রচার করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। শুক্রবার রাত থেকেই এই জিম্মি সঙ্কটের খবরটি প্রধান শিরোনাম হিসেবে স্থান পেয়েছে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমেই।
ঘটনাস্থলের সর্বশেষ খবর সরাসরি প্রচার করতে দেখা গেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি, মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন, কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন আল-জাজিরা ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারতের অন্যতম প্রধান টেলিভিশন এনডিটিভিকে। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা ও বিদেশি দৈনিক পত্রিকাও। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার জিম্মির ঘটনা শুরুর পর পরই ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির অনলাইন সংস্করণের প্রধান শিরোনামে উঠে আসে খবরটি। গভীর রাত পর্যন্ত ‘বাংলাদেশের রাজধানীতে জিম্মি সংকট’ শিরোনামে হতাহতের সংখ্যা ও উদ্ধার অভিযানের প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে বিবিসি। নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে জিম্মি নাটকের অবসান এবং উদ্ধার অভিযানের বিবরণ দিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান শিরোনামে থাকে বাংলাদেশ। বিবিসির বাংলা সংস্করণেও একাধিক প্রতিবেদন ও ঘটনার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য প্রচার করা হয়।
রাজধানীর গুলশানের ‘হোলি আর্টিসান বেকারি ক্যাফেতে জিম্মি বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা ও তাদের পরিচয় তুলে ধর খবর ও ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সসহ সব কয়টি প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা। মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন-ও ঢাকার জিম্মি সংকটের খবরকে প্রধান শিরোনামে রাখে। তাদের প্রতিবেদনে, আন্তর্জাতিক জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে অনুসন্ধানমূলক ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টেলিজেন্সে প্রকাশিত তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়। একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের কথা উল্লেখ করে সিএনএন জানায়, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।
‘ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার একটি রেস্টুরেন্টে বন্দুকধারীদের হামলা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার করা হয় বাংলাদেশের জিম্মির ঘটনা। এছাড়া, ইরানের প্রেস টিভি, রুশ সংবাদ মাধ্যম আরটি, ইয়াহু নিউজের মতো বিশ্বের শীর্ষ সংবাদ মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার ভয়াবহতম এই জিম্মি ঘটনার সার্বক্ষণিক খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হচ্ছে।