সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর দেয়া নির্ধারিত সময় পার হলেও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়নি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। মেরামতের লক্ষণ নেই রামপুরা-মৌচাক-মালিবাগ সড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রাবাড়ির প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার। বৃষ্টি-জল-কাদায় নাগরিকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। মেয়র বললেন, বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের আশু কোন সম্ভাবনা নেই।
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একাংশ চালু হয়েছে কয়েকমাস আগেই। কিন্তু বড় অংশের কাজ এখনও চলছে। রামপুরা থেকে মৌচাক হয়ে মালিবাগ পর্যন্ত সড়কটি বরাবরই রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি। এই অংশে ফ্লাইওভারের কাজ চলার কারণে এর নিচে দুপাশের রাস্তার গাড়ি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এমন কোন অংশ খুঁজে পাওয়া মুস্কিল যেখানে খানা-খন্দ নেই। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাটি যেনো খালে পরিণত হয়।
যাত্রাবাড়ির মাছের আড়তের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও বেহাল। একটু বৃষ্টিতে ভাঙ্গাচোরা সড়কটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। পানি সরে গেলেও অবস্থার কোন উন্নতি হয় না। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যানবাহন চলছে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই। এরআগে ৮ জুন পরিদর্শন করতে গিয়ে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, দুটি রাস্তাই দ্রুত মেরামত করা হবে।
রামপুরা-মৌচাক-মালিবাগের সড়কের জন্যে সাত দিন আর যাত্রাবাড়ির জন্যে এক মাস সময় বেধে দেন তিনি। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বলছেন, এই সময়ের মধ্যে সড়ক দুটির সংস্কার সম্ভব না। এই দুটি রাস্তা ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি সহসাই শেষ হওয়ার কোন আশা দেখছেন না দক্ষিণ ঢাকার মেয়র।