উদ্বোধনের আগেই ত্রুটি দেখা দিয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম অংশে দেবে গেছে সড়কের নানা অংশ। তাতে ঝুঁকি বাড়ছে যান চলাচলে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। আসছে ঈদে যানবাহনের বাড়তি চাপে এ নিয়ে বাড়ছে শংকাও।
সওজ কর্মকর্তাদের দাবি, অতিরিক্ত গরমে ভারী যানবাহনের চাপে এমনটি হয়েছে। যা বড় কোন ত্রুটি নয়। ঢেউয়ের মতো এবড়ো থেবড়ো রাস্তার এই চিত্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকার। শুধু এই এলাকাই নয়, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির চট্টগ্রাম অংশের অনেকস্থানেই দেখা গেছে এই করুণ চিত্র। কোথাও কয়েক ইঞ্চি দেবে গেছে রাস্তা, কোথাও আবার হয়ে গেছে উঁচু। ফলে যান চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে ঝুঁকি। ঘটছে দুর্ঘটনাও। মহাসড়কের এই অংশে চারলেনে সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয় মাত্র কয়েকমাস আগে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই উদ্বোধন হওয়ার কথা সড়কটি। দবে তার আগেই এমন করুণ অবস্থা হলেও সেটাকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
অতিরিক্ত ভারবাহী যান চলাচল ঠেকাতে সীতাকুন্ডের বড় দারোগাহাটে একটি লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হলেও গত দুই বছর ধরে বন্ধ ঢাকামুখী স্কেলটি। তাতে বাধাহীনভাবে চলছে অতিরিক্ত ওজনবাহী গাড়ি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যস্ততম একটি মহাসড়কে এ ধরণের ত্রুটি গ্রহনযোগ্য নয়। তাই বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ তাদের। তবে সড়কের উচু নিচু অংশ মেরামতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঈদের আগেই যা শেষ করার কথা বলছে তারা।