চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে খুনের পরপরই জড়িতদের ধরতে পুলিশের উদ্যোগে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল। এমনটাই মনে করেন আইনবিদরা। তাদের মতে, ঘটনার পর শহরজুড়ে তল্লাশী বা পর্যাপ্ত চেকপোস্ট থাকলে খুনিরা সহজে পালাতে পারতোনা। তবে তা মানতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। তাদের দাবি, পুলিশের তৎপরতা ছিল বলেই হত্যায় ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে পালিয়েছে খুনিরা।

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা মিতুকে হত্যার পর মোটর সাইকেল নিয়ে সহজেই বেরিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একদিন পর সেটি উদ্ধার করা হয়, শুলকবহর এলাকা থেকে। ঘটনাস্থল থেকে শুলকবহরের দূরত্ব  অন্তত চার কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কোথাও তাদের পুলিশের তল্লাশীর মুখে পড়তে হয়নি। অথচ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে শহরজুড়ে সব সময়ই টহল বা চেকপোস্ট জোরদার আছে তাদের।

কিন্তু বাস্তবে সেই ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সমন্বয়হীনতা আছে তদন্তেও। কেননা ডিবির হাতে মূল তদন্তভার থাকলেও আলাদাভাবে কাজ করছে অন্যান্য সংস্থাও। ফলে তথ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে যে যার মতো। কেবল মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, সিসিটিভির ফুটেজ আর সন্দেহজনক কিছু কল রেকর্ড-এসব কিছুর মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্ত। একটি নৃশংস খুনের ঘটনার যখন এই হাল তখন হতাশ বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

তবে এরপরও আশার কথাই বলছে পুলিশ। তাদের দাবি, শীঘ্রই মিলবে ভালো ফলাফল। একইসাথে তারা অস্বীকার করেছেন, খুনিদের ধরার ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যবস্থার শিথিলতার কথাও। গেল ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা মিতু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে